January 11, 2025, 12:30 pm

সংবাদ শিরোনাম
সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জেলে শ্রমিক থেকে হয়ে উঠলেন কোটি টাকার দালান, ট্রলার মালিক জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাংচুর হাজার মামুষের ভালবাসায় চির বিদায় গাজী মারুফ মধুপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাঘাটায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ঘটনা শুনে বাবার মৃত্যু বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে নতুন শর্তপণ্য বারো ধরনের আমদানিতে পরীক্ষণ করবে আর আই এম

পিনাকের ‘অনেক’ চ্যালেঞ্জের বিশ্বকাপ

পিনাকের ‘অনেক’ চ্যালেঞ্জের বিশ্বকাপ

ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের মধ্যে বয়সের দিক থেকে এগিয়ে পিনাক ঘোষ। তার সমবয়সী এই মুহূর্তে টাইগার যুবা দলে আর কেউই নেই। দুই বছর আগে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তার সতীর্থ হিসেবে যে শান্ত, মিরাজ খেলেছিলেন তারা আজ জাতীয় দলে ঠিকানা করে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানেই আছেন।

মালয়েশিয়ায় সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে পিনাকের অপরাজিত ৮১ ও ৮২ রানের ইনিংস দুটি বাদ দিলে গত দেড় বছর তার ব্যাট খুব কমই হেসেছে।

১৯ দলের ক্যাম্পে থাকায় এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। যেখানে তার রান ছিল ২৮ ও ৩৫।

প্রিমিয়ার লিগে ছিল শিক্ষাগত প্রতিবন্ধকতা। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বেশিরভাগ ম্যাচেই ছিলেন মাঠের বাইরে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে মাত্র তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস।

সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান সিরিজেও তাকে ধারাবাহিক রান খরার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ওই সিরিজে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ২৩ রান।

অথচ ২০১৫ সালে দ. আফ্রিকা সফরে গিয়ে ১৫০ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংস খেলে শিখর ধাওয়ান ও জ্যাক রুডলফের মতো তারকারদের পাশে নাম লিখিয়েছিলেন। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ১৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি এই রান সংগ্রহ করেছিলেন। ব্যাটে ধার ছিল পরের বছরও। প্রিমিয়ার লিগে ১১ ম্যাচে সংগ্রহ করেছিলেন ৩০০ রান।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাকে আর ছন্দে দেখা যায়নি। ব্যাটে রান অধরা থাকায় ডাক পড়েনি এবারের বিপিএলে। অথচ তারই অনুজ সাইফ, আফিফ ও অনিকরা খেলছেন।

তাতে অবশ্য পিনাকের তেমন কোনো আফসোস নেই। বাস্তবতা মেনে নিয়েই অনুজদের থেকেই অভিজ্ঞতা সঞ্চারের চেষ্টা করছেন।

পিনাক জানান, ‘আফিফ, সাইফ খেলছে দেখছি, অভিজ্ঞতা সঞ্চার করছি। যেহেতু ৬-৭ মাস ভালো পারফরম্যান্স ছিল না তাই হয়তো এবার খেলা হলো না। এমন হতেই পারে। আবার ভালো সময় আসলে খেলবো।’

সন্দেহ নেই দলের সিনিয়র প্লেয়ার

হিসেবে এবারের বিশ্বকাপে তাকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে সামনে থেকে তাকেই হাল ধরতে হবে। প্রয়োজনে সতীর্থদের পরামর্শকের ভূমিকায়ও তাকে অবতীর্ণ হতে হবে।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, বিশ্বকাপের শেষ চারে তারা খেলতে চাইছেন। পিনাকের চ্যালেঞ্জটি এখানেই। কেননা একজন ওপেনার হিসেবে ভালো না খেললে টাইগার যুবাদের সেই সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে আসবে।

তিনি জানান, ‘প্রথমে চিন্তা থাকবে সেমি ফাইনালটা যেন নিশ্চিত করতে পারি। আগে যে রেজাল্ট করেছি সেটা যেন ধরে রাখতে পারি। তারপর শিরোপা জেতার চিন্তাতো আছেই।’

সেটা না করতে পারলে হয়তো তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটি আরও কঠিন হয়ে যাবে। জানা গেছে নির্বাচকরা তাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডেই রাখতে চাননি।

কিন্তু যেহেতু শেষ পর্যন্ত রেখেছেন সেহেতু তাদের নির্ভরতার জবাব তাকে ব্যাট হাতেই দিতে হবে। নিজেকে রানে ফেরানো, দুর্দান্ত পারফর্মে বিপিএল মঞ্চে নিজেকে নিয়ে আসা,

বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে শেষ চারে নিয়ে যাওয়া এবং নিজের ভবিষ্যতের পথ সুগম করা-এতগুলো চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন তো পিনাক?

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর