টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের আব্দুল সেকের ছেলে বাক প্রতিবন্ধী বেলাল হোসেন(৩৫)এর জন্ম হয় ১৯৮৭ সালের ৫ জুন। তার মাতার নাম মোছাঃ মমতাজ বেগম।
জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় লেখাপড়ায় তেমন শিক্ষিত হতে না পাড়লেও তার অন্যান্য মেধার মাধ্যমে কুড়ালিয়া তথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই তার মাথায় বুদ্ধি ছিল অকল্পনীয়।স্মার্ট সাদাসিধা এই ছেলেকে দেখলে মনেই হয় না সে বোবা মানুষিক প্রতিবন্ধী।
সে মোটরসাইকেল,বাইসাইকেল এবং পাওয়ার টিলার চালাতে খুবই পারদর্শী।
যেকোনো ডিজেল ইঞ্জিন মেরামত থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক মটর সেটিং এবং বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য এলাকার লোকজন তাকেই চিনেন।
এলাকায় ব্যুরো মৌসুমে ডিজেল ইঞ্জিন ও মটর সেটিং করতে তার ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
জন্মের পরেই তার বাবা তাকে কুড়ালিয়ায় মায়ের কাছে রেখে চলে যায়। কষ্টের সংসারে মা এবং ছেলে অনেক অবহেলার মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছেন। বাবা না থাকায় মাকে ধরতে হয় সংসারের হাল। মা মমতাজ বেগম রাস্তায় প্রকল্পের আওতায় মাটি কাটার কাজ করেন। বেলাল হোসেন বিভিন্ন এলাকায় ডিজেল ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক কাজ করে যা পায় তা দিয়ে কোন রকম জীবন যাপন করে থাকেন। বাকপ্রতিবন্ধী বেলাল হোসেন সরকারী কোন ভাতা না পাওয়ার কারণে তার মাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মা মমতাজ বেগম জানান, ছেলে বোবা প্রতিবন্ধী বলে কেউ তাকে কাজে নিতে চায়না। মাঝে মধ্যে দুইএকশো টাকা মেশিন সাইরা পায় তা দিয়া কি আর সংসার চলে? বোবা ছেলেডারে নিয়া খাইয়া না খাইয়া জীবন যাপন করতাছি। সরকারি তেমন কোন ভাতা পাইনা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য সহযোগিতার জন্য আকুল আবেদন জানান।
বাবুল রানা
মধুপুর টাঙ্গাইল