ডাবল সেঞ্চুরি ইমরুলের
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
জাতীয় লিগের এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে থেমে যাননি ইমরুল কায়েস। সেটিকে রূপ দিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে।
জাতীয় লিগে রোববার খুলনার হয়ে রংপুরের বিপে এই ইনিংস খেলেন ইমরুল। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ১৯ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩১৯ বলে ২০২ রান করে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইমরুলের আগের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল ২০১৪ সালে বিসিএলের ফাইনালে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দণিাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপে ২০৪ রান করেছিলেন ২০ চার ও ৯ ছক্কায়।
এবার মৌসুম শুরুর আগে বেশ কিছুদিন মাঠের সংস্পর্শ থেকে দূরে ছিলেন ইমরুল। শিশু সন্তানের অসুস্থতার কারণে তাকে ছুটোছুটি করতে হয়েছে দেশের বাইরে। মাঠে ফিরে অনুশীলন শুরু করেছেন জাতীয় লিগ শুরুর মাত্র কদিন আগে। তারপরও জ¦লে উঠলেন প্রথম ইনিংসেই।
খুলনার হয়ে জাতীয় লিগের এই ম্যাচে এবার ইমরুল ব্যাট করেছেন তিন নম্বরে। তৃতীয় দিন বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে।
চতুর্থ দিনের সকালের সেশনে শুরুতে ছিলেন বেশ সাবধানী। ১০৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। এরপর বাড়তে থাকে স্ট্রোকের পরিধি। দ্রুত বাড়তে থাকে রানও। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে অষ্টাদশ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন ১৮৩ বলে।
আরেক প্রান্তে অবশ্য উইকেট পড়ছে নিয়মিত। কিন্তু ইমরুল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। যখন সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন, ততণে দল হারিয়ে ফেলেছে ৮ উইকেট। কিন্তু শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ঠিকই ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শেষ দুই জুটিতে খুলনা তোলে ১২৬ রান। তাতে শেষ দুই ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেনের সম্মিলিত অবদান ছিল কেবল ৩ রান! ইমরুলের ব্যাটে তখন রানের জোয়ার ছিল এতটাই তীব্র।
রুবেলকে নিয়ে নবম উইকেটে ইমরুল গড়েছেন ৮৪ রানের জুটি। রুবেলের রান ছিল সেখানে ৪৪ বলে ২। নাঈম ইসলামকে চার মেরে দেড়শ ছুঁয়েছেন ২৪৫ বলে।
শেষ ব্যাটসম্যান আল আমিন যখন উইকেটে গেলেন, ডাবল সেঞ্চুরি থেকে তখনও ২৬ রান দূরে ইমরুল। তারপরও আল আমিনকে আড়াল করে, নিজে স্ট্রাইক নিয়ে দারুণ গতিতে ছুটে যান ডাবলের পথে। ১৭৬ রান থেকে নাসির হোসেনকে ছক্কায় উড়িয়েছেন টানা দুই বলে। এরপর ১৮৯ রান থেকে সোহরাওয়ার্দী শুভকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চারে দ্বিশতক স্পর্শ করেন ৩১১ বলে।
ইমরুল দুইশ করার খানিক পরই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় খুলনা। শেষ উইকেটে ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আল আমিন কেবল ৩ বল খেলে করেছেন ১ রান।
শেষ দুই জুটিতে খুলনার ১২৬ রানের ১০৯ রানই এসেছে ইমরুলের ব্যাট থেকে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান:
নাম
সেঞ্চুরি
তুষার ইমরান ৩১
নাঈম ইসলাম ২৬
অলক কাপালী ২০
রাজিন সালেহ ১৮
ইমরুল কায়েস ১৮