অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরা হুমকির মুখে নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য মার্কিন সরকার যে সতর্কতা জারি করেছে, তেমন কিছুই এখানে ঘটেনি।’ গতকাল রোববার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম : সার্ক পারসপেকটিভ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কোর্সের উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের চলাচলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সতর্কতা জারির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যালার্ট জারি যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা অ্যালার্ট জারি করে।’ এ দেশে বিদেশিরা ঝুঁকিতে নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি না কী কারণে যুক্তরাষ্ট্র অ্যালার্ট দিয়েছে। বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের ওপর হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য পেলে, তাদের উচিত আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সে সম্পর্কে জানানো।’
এ ছাড়া মন্ত্রী আরো বলেন, ‘৯ এপ্রিল পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে ৬১৪ চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করবে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শপথ নিলে আইন অনুযায়ী সব সহায়তা তাদের দেওয়া হবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন। বাংলাদেশে বসবাসকারী নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য গত বুধবার নতুন করে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে ১৫ মার্চের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বানের মাঝে আমরা মার্কিন নাগরিকদের আইএসআইএস ও আল-কায়েদার মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর দেওয়া চলতি হুমকির বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করছি।’
‘সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদের সহযোগী এবং এমন সব সংগঠন থেকে উদ্বুদ্ধরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মার্কিন ও পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলার অভিপ্রায় লালন করছে,’ বলা হয় বিবৃতিতে। এতে মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা যাচাই করে দেখতে এবং আশপাশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ‘পশ্চিমাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া, থাকার জায়গায় সতর্ক থাকবেন এবং হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যমে নজর রাখবেন।’ গত শুক্রবার গণভবনে কোনো কারণ উল্লেখ না করে বা ব্যাখ্যা না দিয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে সতর্কতা জারি করায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘সামনের দিনগুলোতে ঘটতে পারে এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে যদি তাদের কাছে তথ্য থাকে, তাহলে সেটা আমাদের জানানো তাদের দায়িত্ব’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানাতে পারে, যাতে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’