সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে আসছে আজ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ আজ শনিবার দেশে আসছে। সৈয়দ আশরাফের পরিবার ও দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, শনিবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ দেশে নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন না তিনি।
শেষ দেখার অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী: গত বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে সৈয়দ আশরাফেল মৃত্যু সংবাদ প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে কিশোরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে কিশোরগঞ্জবাসী। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাতেই শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ভিড় জমান। তার পৈতৃকবাড়ি সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের যশোদল-বীরদামপাড়া গ্রামের মানুষ শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। স্বজন ও এলাকাবাসী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অকালপ্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় আছেন তার নির্বাচনী এলাকা সদর ও হোসেনপুর উপজেলার মানুষসহ পুরো কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। এলাকায় সৎ আদর্শবান ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বাড়িতে এলে স্বজন ও এলাকাবাসীর খোঁজ-খবর নিতেন তিনি। তাকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন এলাকাবাসী। তার মৃত্যুতে শুধু দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরাই নন, সাধারণ মানুষও শোকে মুহ্যমান। সবার একটাই কথা, সৈয়দ আশরাফের শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। এ ক্ষতি অপূরণীয়। হয়তো কোনোদিন তা পূরণ হবার নয়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বজন সৈয়দ পারভেজ হাসান জানান, তার চাচা অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যু তারাসহ এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না। এখন তাকে শেষবারের মতো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসী। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল জানান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি খুবই নির্লোভ, সৎ ও আদর্শবান নেতা ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুর্দিনে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জসহ দেশ একজন ত্যাগী নেতাকে হারালো।