৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতিতে ধন্যবাদ প্রস্তাব জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক স্মারকে অন্তর্ভুক্ত করায় ইউনেস্কোসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। গতকাল বুধবার ঢাকায় জামুকা’র ৫১তম সভায় সদস্য মো. রাশিদুল আলম ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সর্বসম্মতভাবে তা গৃহীত হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে মাতৃভাষার প্রতি বাঙালির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজয়ী দল হিসেবে বাঙালির হাতে শাসনভার না দেয়ায় ফুঁসে ওঠে জাতি। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু, যা ছিলো প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে নয়মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে গত ৩০ অক্টোবর স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ইউনেস্কো’র এ স্বীকৃতির ফলে বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাঁতি এবং বাংলা ভাষা আবারও বিশ্বের দরবারে গৌরবান্বিত হলো।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভায় জামুকার সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মো. শাজাহান খান, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, নওগাঁ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাশিদুল আলম, মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীরপ্রতিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. অপরূপ চৌধুরী, জামুকা’র মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান সভায় অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।