ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সম্প্রতি এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তামবুন প্রাসাত নামের আটান্ন বছর বয়সি এই থাই নাগরিকের বসবাস দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফোরমিন শহরে। স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ প্রভাবশালী এই ব্যক্তি পেশায় ঠিকাদার। তিনি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে বাড়ি নির্মাণের কাজ করেন।
এবং অবাক করা বিষয় হলো, তিনি যেখানেই কাজ করতে যান সেখানে বিয়ে করেন। এভাবে গত চল্লিশ বছরে তিনি একশ বিশজন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সব মিলিয়ে তার ছেলেমেয়ের সংখ্যা ২৮।
তবে এতগুলো স্ত্রী থাকলেও সবাইকে নিয়ে বেশ সুখেই রয়েছেন তিনি। কারণ প্রতিবার বিয়ের পূর্বে তিনি আগের স্ত্রীদের কাছ থেকে অনুমতি নেন। সবাইকে নিয়মিতভাবে ভরণ-পোষণের প্রয়োজনীয় অর্থ দেন এবং সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
তামবুন প্রথম বিয়ে করেন সতেরো বছর বয়সে। তার প্রথম স্ত্রীর তিন সন্তান জন্মের পর তিনি নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ওই নারীকে বিয়ে করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বছর বছর তিনি বিয়ে করে চলেছেন এবং এই আটান্ন বছর বয়সেও তিনি আবার বিয়ে করেছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তামবুন বলেন, ‘বিয়ে করা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার সকল স্ত্রী এটা জানে এবং এ বিষয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমি তাদের প্রত্যেককেই ভালোবাসি এবং বিয়ের পূর্বে সকলের অনুমতি নিই।’
তিনি যখন সাংবাদিকদের কথাগুলো বলছিলেন তখন তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী পাশে বসা ছিলেন। তবে বহুবিবাহের কারণে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।