March 21, 2025, 10:11 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফ্যাসিস্টের দোসর

বিষাক্ত সাপের ভয়ে অসহায় মানুষ আতংকে: এলাকা ভিত্তিক অ্যান্টিভেনম প্রয়োজন

রাকিব হোসেন,ভোলাঃ
প্রতি বছর বাংলাদেশে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ  মানুষ আর এদের মধ্যে চিকিৎসার অবহেলার কারণে  মৃত্যু ঘটছে অনেকের।

বিষধর সাপের কামড়ের চিকিৎসায় সচেতনতা অর্জনের পাশাপাশি সাপের দংশন থেকে বাঁচতে আবাসস্থল রক্ষা করতে হবে। সাপের কামড়ের কারণে বর্তমান মৃত্যুহার কমানো সম্ভব বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিনের দরগার কাছেই নতুন বাড়ির, তিন সন্তানের জননী, ফাহিমা বেগম (৩২)  বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়। তাকে ২৫ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার বিষাক্ত সাপে আঘাত করে তারপর তাকে প্রথমে গ্রামের ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বোরহানউদ্দিন  হাসপাতালে আনা হয়, সেখান থেকে,  রুগির অবস্থা খারাপ দেখে ডাক্তার তাকে, ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠান, সেখান থেকেও  ডাক্তার তাকে বরিশাল সদর  হাসপাতালে পাঠান, এবং ২৬ শে আগস্ট রোজ শুক্রবার বোর আনুমানিক ০৫ ঘটিকায়  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন, তিন সন্তানের জননী ফাহিমা বেগম ।
মৃত ফাহিমা বেগম এর নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনেরা জানান, বোরহানউদ্দিন  এবং ভোলা সদর হাসপাতালে তাকে কোন, অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দেয়া হয়নি।

বিষাক্ত সাপের আঘাতে  ফাহিমা বেগম এর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশে ৮০ প্রজাতির সাপ রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে আট প্রজাতির সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। দেখা গেছে, প্রতি বন্যায় বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। বন্যায় মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হল সাপের কামড়।

সাপের বিষনাশক অ্যান্টিভেনম যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া যায় না, এটা থাকে শুধু জেলা পর্যায়ে, অনেক সময় দেখা গেছে সেখানে ও পাওয়া যায় না, তাই বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় বলে সাপে কাটা মানুষকে অ্যান্টিভেনম দেয়া সম্ভব হয় না। গ্রামাঞ্চলের অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সাধারণ মানুষ অ্যান্টিভেনম না পেয়ে কথিত ওঝার কাছ থেকে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে থাকে, যা এক কথায় অবৈজ্ঞানিক। ফলে ব্যাপক হারে তাদের মৃত্যু ঘটে।

সাপের বিষনাশক অ্যান্টিভেনম বিষধর সাপে কাটা মানুষকে বাঁচানোর একমাত্র উপায়। অথচ দেশে সব বিষধর সাপের অ্যান্টিভেনম নেই। উপরন্তু যা রয়েছে, তাও উপজেলা পর্যায়ে পাওয়া যায় না। এটা পাওয়া যায় জেলা পর্যায়ে,অনেক সময় তাও পাওয়া যায় না,  সাপের কামড়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে হলে উপজেলা পর্যায়েও অ্যান্টিভেনমের ব্যবস্থা করার বিকল্প নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সাপের কামড় হল সর্বোচ্চ অবহেলিত ‘ট্রপিক্যাল ডিজিজ’। কেন এই অবহেলা তা বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক। বছরে যে কারণে অনেক অসহায়  মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে, সেই কারণের প্রতি অবহেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের কথা হল, দেশে সব বিষধর সাপের বিষের অ্যান্টিভেনম ইউনিয়ন পর্যন্ত মজুদ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, বন্যার সময় দিতে হবে বাড়তি নজর। এ সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে বন্যা-আক্রান্ত এলাকাগুলোয় অ্যান্টিভেনমসহ যাতায়াত করতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে, না হয় গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে বিষাক্ত সাপে আঘাত করলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে সাধারণ মানুষ গুলো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর