জঙ্গি হামলার শঙ্কায় ইসিতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
যখন প্রধান দুই দলের রাজনৈতিক উত্তাপ শুরু হচ্ছে তখন স্থানীয় সরকার ও একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে নিরাপত্তা জোরদার করছে নির্বাচন কমিশন।
জঙ্গি হামলার’ শঙ্কার খবর গণমাধ্যমে আসায় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগেই নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার আইজিপি’র কাছে ইসির পক্ষ থেকে ইসি সচিবালয়ের উপ সচিব আবদুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়।
এতে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার শঙ্কা’ রেখে নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে বলেছে ইসি।
চিঠি বলা হয়েছে, “আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের দপ্তর স্থাপিত। এ ছাড়া ইসি সচিবালয় ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (ইটিআই)ও এখানে। নির্বাচন ভবনে প্রতিনিয়তই রাজনৈতিক দল, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, দেশি–বিদেশি গণমান্য ব্যক্তিরা আসছেন।
“আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি স্পর্শকাতর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।”
এ অবস্থায় নির্বাচন ভবনের বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিইসি, নির্বাচন কমিশনারদের নিরাপত্তা বেশি জোরদার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ভোট বর্জনের মুখে ২০১৩ সালের অক্টোবরেও নির্বাচন ভবনসহ মাঠ পর্যায়ের সব নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছিল ইসি।
এবারও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি বিপরীতমুখী অবস্থান রয়েছে।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে আগামি বছর সংসদের ভোট হবে। এ বছরের ডিসেম্বরের রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট হবে, সংসদের আগে আরও ৫ সিটির ভোট করবে ইসি।