আইনের দোহাই দিয়ে মেয়র নাছির আইন লঙ্ঘন করছেন: মহিউদ্দিন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
গৃহকর পুনর্মূল্যায়নে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আইনের দোহাই দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, নগরবাসীর উপর অযৌক্তিক ও অসহনীয় বর্ধিত গৃহকর চাপিয়ে দিয়ে মেয়র একে বৈধতা দেয়ার জন্য ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। মেয়র গৃহকর নির্ধারণে আইনি কাঠামোর দোহাই দিয়ে অজ্ঞানতাবশত বা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবেই সিটি করপোরেশন (ট্যাক্সেশন) এ্যাক্ট-১৯৮৬’র বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন। গৃহকর মূল্যায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দিলেও মূল্যায়নের ভার সিটি করপোরেশনের উল্লেখ করে তিনবারের সাবেক এই মেয়র বলেন, কীভাবে করা হবে, সর্বোচ্চ হার কত হবে সব আইনে আছে। অথচ বর্তমান মেয়র আইনের এই ব্যাখ্যা আমলে না নিয়ে বর্ধিত কর আরোপে তার কোনো দায়-দায়িত্ব নেই বলে সাফাই গাইছেন। বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রমের শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন তার কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আইনে জনগণের সাধ্য ও সামর্থ্যরে বাইরে গৃহকর নির্ধারণের বাধ্যকতা আরোপ করা হয়নি। বরং আইনে বলা আছে ইমারত ও জমির উপর বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ কর এবং ময়লা নিষ্কাশনে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ রেইট ও সড়ক বাতির জন্য ৫ শতাংশ হারে রেইট আরোপ করা যাবে। অর্থাৎ গৃহকর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশের উপর উঠা যাবে না। তবে কম বা হ্রাসকৃত হারে নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাধা নেই এবং তা করা যাবে। মানে এই আইনে কর বৃদ্ধি করা হোক- এমন কথা বলা হয়নি। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইমারত ও জমির ক্ষেত্রে ‘কর’ এবং আর্বজনা ও সড়ক বাতির ক্ষেত্রে ‘রেইট’। করের আওতায় সব জমি-ইমারতের মালিকগণ আসবেন। কিন্তু রেইট শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য এবং তা সবার জন্য নয়। তাই নাগরিক সুবিধার প্রসার না করে, দুপুর থেকে রাত অবধি পুরো নগরী আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত করে, দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় সড়ক বাতি যখন নেই তখন ময়লা ও সড়ক বাতির রেট নগরবাসীর উপর চাপিয়ে দেয়া জুলুমের শামিল। বর্ধিত গৃহকর মূল্যায়ন ‘অযৌক্তিক ও ভুল’ পদ্ধতিতে করা দাবি করে মহিউদ্দিন বলেন, এই সত্যকে আড়াল করতে মেয়র এখন আপিলের নাটক করছেন। যা অসত্য ও ভুল তাকে বৈধতা দিতে এবং জনগণের ক্ষোভকে প্রশমিত করতে গিয়ে উল্টো দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করছেন। গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন ‘জনস্বার্থ ও আইন পরিপন্থি’ হওয়ায় তা বাতিলযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন মহিউদ্দিন।