ছয়দিনের রিমান্ডে মা-ছেলের ‘ঘাতক’ জনি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলার আসামি আল আমিন জনির ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দশ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ডে নিতেও বলেছেন রমনা থানা পুলিশকে। গতকাল রোববার জনিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর আলী হোসেন। শুনানি শেষে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবিবের আদালত।
নিহত শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনের (১৮) মূল খুনি বলে সন্দেহভাজন জনিকে গত শনিবার গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জনি মামলার ৩নং আসামি এবং দুই নম্বর আসামি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শারমিন মুক্তার ভাই। নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী প্রধান আসামি গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আবদুল করিম এবং করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তাকেও ছয়দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত বুধবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাকরাইলের ৭৯/এ নম্বর বাড়িতে গলা কেটে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাওনকে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিহত স্বামী আবদুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাকরাইলের বাসাটি থেকে আবদুল করিমকে রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়াপল্টনের একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে পুলিশ। তাদের পরে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার পরে ওই দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আলী হোসেন। শুনানি শেষে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলমের আদালত।