লবিংয়ের টাকা বিএনপি কোথায় পায়, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিএনপি ‘যুক্তরাষ্ট্রে তদবির চালাতে লবিং ফার্ম’ ভাড়া করার টাকা কোথায় পাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তারা লবিং করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এটা নিয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই। তবে প্রশ্ন হল এত টাকা তারা কোথা থেকে পায়? গতকাল শুক্রবার ঢাকায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের দশ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী কাদের। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন পলিটিকো তিন দিন আগে বিএনপির ‘লবিং ফার্ম’ ভাড়া করার ওই খবর প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আব্দুল সাত্তার নামে বিএনপির একজন’ গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস’ এবং ‘রাস্কি পার্টনার্স’ এর সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তদবির করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করে বিষয়টিকে ‘একটা মহলের অপপ্রচার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পলিটিকোর ওই খবর এবং বিএনপি মহাসচিবের যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে এখন কমপ্লেইন করতে জাতিসংঘে গেছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু একটা বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। ওয়াশিংটনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে লবিংয়ের জন্য। তিনি বলেন, একবার ২০ হাজার ডলার, আবার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এটা কি তারা পারেন? এর কি কোনো প্রযোজন আছে? কাদেরের ভাষায়, বাংলাদেশ তো পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সুদান, সোমালিয়া, ইরাক কিংবা ইরানের মত দেশ না। এখানে নিজেদের সমস্যা তো নিজেরাই মেটানো সম্ভব। তারা লবিস্ট নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করবে আমাদের চাপ দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের গণভিত এবং আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে চাপ দিতে পারে কেবল বাংলাদেশের জনগণ। অন্য কারো চাপে আওয়ামী লীগ নত হবে না।