বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ক্ষেত্র: শিল্পমন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ক্ষেত্র। আমাদের সরকার এখন উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও উৎসাহ দিচ্ছি। সরকারের সড়ক, দীর্ঘ সেতু, প্রযুক্তি পার্ক এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। যেখানে ভারত বিদ্যুৎ, স্টিল, ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স, তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন এবং কাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোতে অংশ নিতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রদর্শনী ‘ইন্ডি বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার স্থানীয় এবং বিদেশিদের জন্যে স্বাধীন বিনিয়োগ এবং শিল্প নীতি অনুসরণ করছে। সব ধরনের সুবিধা নিয়ে গড়ে তোলা হবে ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গত ৫ বছরে পণ্যসামগ্রী বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রায় ৭ শতাংশ কম্পাউন্ড বার্ষিক প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে এবং মোট বাণ্যিজ্যের পরিমাণ ২০১৬-১৭ সালে ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সাল নাগাদ এবং বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা অর্জন করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। ভারত প্রতিবেশী নীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে সবার প্রথমে বাংলাদেশের অবস্থান। প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর সঙ্গে পারস্পরিক বিনিয়োগও বাড়ছে। ভারতের বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা ইইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল), ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতায় ইন্ডি বাংলাদেশ-২০১৭ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান টিএস ভাসিন বলেন, ইইপিসি ২৬টি দেশে ৩৬টি ইন্ডি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে ৩৭তম প্রদর্শনীতে অটোমোবাইল, পাওয়ার, ইন্ড্রাস্টিয়াল, ইলেকট্রিক মেশিনারি ও যন্ত্রপাতি, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনারি, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন-ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিএস ভাল্লা, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।