October 6, 2024, 6:25 pm

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

কেন হয় যমজ সন্তান?

কেন হয় যমজ সন্তান?

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

যমজ সন্তান নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। অনেকে যমজ সন্তান পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। গর্ভে একের অধিক সন্তান ধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যমজ সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর কোনো হাত নেই। এটি নির্ভর করে স্ত্রীর ডিম্বাণুর ওপর।

মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনও একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এ সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রাণু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুইটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়।

এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জিন একই হয়ে থাকে। একারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সব সময় একই লিঙ্গের নাও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।

সাধারণত এমনটিই জানা থাকলেও শুধু উৎপন্ন হওয়া ডিম্বাণুর সংখ্যার ওপর যজম সন্তান নির্ভর করে না। অনেক সময় একটি ডিম্বাণু ভেঙে দুটি হয়ে যাওয়ার ফলে যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে।

যমজ সন্তান দুইভাবে হতে পারে:

 

১. ভিন্নধর্মী যমজ:

 

সাধারণ দুটি ঊর্বর ডিম্বাণু থেকে এই ধরনের যমজের উৎপত্তি। এদের আকৃতি ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। গায়ের রং, চোখ বা চুলের রংও আলাদা হয়। তবে উভয়ের রক্ত ভিন্নধর্মী নাও হতে পারে।

 

২. অভিন্নধর্মী যমজ:

 

এরূপ যমজ সন্তানের উৎপত্তি একটি ডিম্বাণু থেকে। এই ডিম্বাণু স্বাভাবিক উর্বরতা লাভের পর দুটি সমান ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি ভ্রুণের সৃষ্টি করে। এটি একটি ভ্রূণঝিল্লির মধ্যে দুই ভাগে অবস্থিত থাকে এবং দুটি ভ্রূণ একটি ফুল থেকেই অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণ করে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় একটি ভ্রূণ অপেক্ষা অন্যটি বেশি বেড়ে যেতে পারে। তবে বুড়ো আঙুলের ছাপে পার্থক্য থাকে। কখনো কখনো ডিম্বাণুটি অসম্পূর্ণভাবে বিভক্ত হলে সংযুক্ত দেহবিশিষ্ট যুক্ত যমজ বা সায়ামিজ টুইনের সৃষ্টি হয়।

 

কী কী সমস্যা হতে পারে?

 

১. মা এবং বাচ্চা, দু’জনের শরীরেই বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়৷

২. মূলত মায়ের শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা যায়৷ প্রেসার বেড়ে যায়, রক্তক্ষরণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷

৩ . ডেলিভারির পর রক্তস্রাব বেশি হয়৷এর ভয় থাকে৷

৪. ডেলিভারির সময় সমস্যা হতে পারে৷

৫. প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় মায়ের মৄত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷

 

বাচ্চার সমস্যা:

 

১. অপরিণত বাচ্চা

২. বাচ্চার ওজন কম হয়

৩. নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি

৪. জন্মের সময় মৄত্যুও হতে পারে।

 

চিকিৎসা:

 

১. মাকে বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে৷

২. পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে৷

৩. ডেলিভারির আগে অর্থাৎ প্রেগনেন্সির সময় অ্যানিমিয়া ধরা পড়লে অথবা রক্তক্ষরণ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ঘনঘন চেক-আপ করাতে হবে৷

৪. অ্যানিমিয়া ঠেকাতে আয়রন ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে হবে৷

৫. ডেলিভারির নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে এমন হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে৷

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর