শেইভ করার পর গালে জ্বালাভাব অনুভব কারেন না এমন পুরুষ কমই আছেন। আর ব্রণ ওঠা, গাল কেটে যাওয়ার সমস্যা তো রয়েছেই। তবে একটু সাবধান হলেই এই ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
যেসব পুরুষ ঘরে শেইভ করেন তাদের অন্তত ধারালো রেইজর ব্যবহারের পাশাপাশি ত্বক নরম করে দাড়ি কামালে সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে।
ত্বকপরির্যা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দাড়ি কামানোর কৌশল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে আরও কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
এসব বিষয়ে খেয়াল রাখলে সমস্যা কম হবে।
জ্বালাভাব লাভাব: দাড়ি কামানোর পর গালে লালচে দাগ আর জ্বালাবোধের সঙ্গে পরিচয় আছে প্রায় প্রতিটি পুরুষের। এর প্রধান কারণ হল পুরানো ভোঁতা ব্লেড ব্যবহার, শুষ্ক ত্বকে শেইভ করা, রেইজর গালে দ্রুত কিংবা জোরে চেপে টানা।
সহজেই সারানো সম্ভব এই জ্বালাভাব।
শেইভ করার আগে গালের ত্বক নরম করে নিতে হবে। এজন্য ব্যবহার করতে হবে ভালো মানের শেইভিং অয়েল, ফোম বা জেল। শেইভ করা শেষে ত্বক আর্দ্র রাখে এমন ‘আফটার শেইভ লোশন’ ব্যবহার করতে হবে। আর শেইভ করতে ব্যবহার করতে হবে ধারালো ব্লেডের রেইজর।
কাটাছেঁড়া: শেইভ করার পর চেহারা দেখে সদ্য যুদ্ধ ফেরত যোদ্ধা মনে হোক এমনটা কেউই চায় না। রেইজারের ব্লেড ভোঁতা হলে কিংবা নতুন ব্লেড প্রথমবার ব্যবহারের সময় অসাবধানতায় গাল কেটে যেতে পারে।
তাই নতুন ব্লেড ব্যবহারের সময় গালের উপর দিয়ে আলতোভাবে টানতে হবে। বেশি চাপ দেওয়া যাবেনা, নইলে চামড়া, এমনকি মাংস কেটে চলে আসতে পারে।
ত্বকের ভেতরে গজানো লোম: শেইভ করার সময় কোনো দাড়ি সঠিকভাবে কাঁটা না পড়লে তা অনেক সময় ত্বকের ভেতরেই বড় হতে থাকে। ভুলেও চিমটা দিয়ে ওই লোম তোলা যাবে না।
শেইভ করার সময় চামড়া টানটান করা উচিত নয়। আর দাড়ি বা লোম যেদিকে বাড়ছে সেদিকে ব্লেড চালান, উল্টো ব্লেড চালানো উচিত নয়। গোসলের পর শেইভ করা ভালো। কারণ গোসলের পর মুখের লোমকূপ খোলে।
শেইভ করার আগে ত্বকে চক্রাকারে প্রাকৃতিক ‘এক্সফোলিয়েন্ট’ মেখে নিতে পারেন। এতে দাড়ি বা লোমগুলো বাইরে বের হয়ে আসবে।
রেইজার থেকে ব্রণ: দাড়ি কাটার সময় কোঁকড়ানো বা মোটা লোম ‘ফলিকল’ বা লোমকূপে আঘাত করলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
শেইভ করার পরপরই স্বাধারণত দাড়ি বাড়তে শুরু করে। এই বৃদ্ধির সময় মোটা বা কোঁকড়ানো লোম, লোমকূপে চেপে বসতে বা খোঁচা দিতে পারে। পরিস্থিতি মারাত্বক হলে আক্রান্ত অংশে পুঁজ নিয়ে ব্রণ হতে পারে।
এসময় অ্যালকোহল আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না, কারণ এটি ত্বক শুষ্ক করে দেয় এবং জ¦ালা করে।
শেইভ করার পর ‘এক্সফোলিয়েট’ করে এবং ‘স্যালিসাইলিক অ্যাসিড’ আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।
সেলুনে শেইভ থেকে ফুসকুড়ি: শেইভ করা থেকে ত্বকে র্যাশ, ব্রণ ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেশি থাকে সেলুনে শেইভ করলে। কারণ নোংরা তোয়ালে ও রেইজর।
অভ্যন্তরীণ চুল থেকেও সমস্যা হতে পারে। তবে সবচাইতে বিপজ্জনক হল সেলুনে শেইভ করার সময় চামড়া কেটে গেলে। সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
তাই শেইভ করার আগে রেইজরটা যাতে গরম পানিতে ধুয়ে নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সবশেষে ‘আফটার শেইভ লোশন’ মাখিয়ে লোপকূপ বন্ধ করে দিতে হবে।