January 16, 2025, 5:55 pm

মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনও দিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আগামীতে সরকারে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং বিরোধীদলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।’ গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের শাহপুর মাদ্রাসা মাঠে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, ‘নির্বাচন এলেই দলটি এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করে। তারা নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র করে। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আগাম নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিতর্কীত কথাবার্তা বলছেন। নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। সেখানে তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা এমন আবল তাবল কথা বলছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির দাবির মুখে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নেই। তাই আন্দোলন করারও কোনও শক্তি নেই তাদের। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া চুরির মামলায় কারাগারে আছেন। তাকে জামিন দিবেন কিনা তা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনও হাত নেই।’

বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন,  ‘বাংলাদেশকে একসময় অনেক দেশ মিসকিন বলতো। এখন আর তারা তা বলতে পারে না। দেশের সেই অবস্থা নেই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সারাবিশ্বের প্রশংসা অর্জন করছেন।’

কেরানীগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমি ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এই টাকা দিয়ে আমি কেরানীগঞ্জে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ করবো। কেরানীগঞ্জে আমি ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি কোনও ভূমিদস্যু নই। ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি। আগামি নির্বাচন আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যদি আমি কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করে থাকি তবেই আগামি নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিবেন।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-২ সংসদীয় আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আজম খান বারকুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, রোহিতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবদুল আলী, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আবু সিদ্দিক, রোহিতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সলিমুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন সাহা, আইকে শাহীন, জাকি উদ্দিন রিন্টু, মো.আলাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, ইঞ্জিনিয়ার হান্নান ও শাহাদাৎ হোসেনসহ অনেকে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর