অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তা: প্রচারে গ্রামীণফোন, টেলিনর, ইউনিসেফ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা বাড়াতে ‘শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শীর্ষক বিশেষায়িত কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তি করেছে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ।
নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে শিশু, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই চুক্তির উদ্দেশ্য।
পাশাপাশি এ চুক্তির মাধ্যমে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য যোগ করার মাধ্যমে শিশুদের হেল্পলাইন (১০৯৮) সেবার সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
রোববার জিপি হাউজে চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠান এ কথা জানিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ইন্টারনেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ ক্ষেত্রে নবীন জনগোষ্ঠির জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একথা মাথায় রেখে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তির অর্থপূর্ণ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করতে একমত হয়েছে।”
ইউনিসেফ বলছে, এ উদ্যোগের আওতায় চলতি বছর ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার লাখ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করা হবে।
চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি।
মাইকেল ফোলি বলেন, “আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারে তরুণদের নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমরা চাই, বাংলাদেশের মানুষ কোন ধরনের শঙ্কা কিংবা রক্ষণশীল মনোভাব ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে, এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করুক। শিশুদের জন্য নিরাপদে শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে এবং বিশ্ব তথ্য ভা-ারে আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও আগ্রহ কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে ইউনিসেফের সাথে আমাদের যৌথ অংশীদারিত্বই তার প্রমাণ।”
২০১৪ সালে থেকে বাংলাদেশের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট শিক্ষা এবং এ বিষয়ক পরামর্শদান নিয়ে গ্রামীণফোন কাজ করছে।
নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণফোন এখন দেশের এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে কাজ করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি বলেন,“শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অনলাইন কার্যক্রম তাদের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্ট করেছে এবং নিজস্ব অধিকার নিশ্চিতকরণে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার শিশু কিশোরদের জন্য কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই আমাদের জরুরিভাবে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে তাদের অনলাইন কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হতে হবে।”