মৌলভীবাজারে সাবেক ইজি আর্ন নামীয় ডিজিটাল ডলার প্রতারক সেলিম ও তার সহযোগীরা এবার ডিজিটাল প্রতারনার নতুন কৌশল হিসাবে বেঁচে নিয়েছে অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম নামীয় একটি ভুয়া প্রতিষ্টান। শহরের ব্যস্ততম এলাকা সেন্ট্রাল রোড (পুরাতন থানার সামনে) আশারানী ডেন্টাল ক্লিনিক এর পাশের বিল্ডিং, “হাসি জুয়েলারী ওয়ার্কস” এর ২য় তলায় সকরারী কোন অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম নামীয় ডিজিটাল প্রতারনার ফাঁদ পেতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারনা করে আসছে এ চক্রটি। “অনিবার্ন বিজনেস সিষ্টেম” প্রথমে ৩শত টাকা জমা দিয়ে তাদের সদস্য পদ গ্রহন করতে হয়। পরবর্তীতে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করার সুযোগসহ দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন লোভনীয় অপার। “অনিবার্ন সার্ভিস” এ রয়েছে, লাশবাহী গাড়ী সার্ভিস, শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় সকলপণ্য। প্রতারকরা শুধুমাত্র অনলাইনে বিভিন্ন লোভনীয় অপার দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ ভাবে মৌলভীবাজারে ইজি আর্ন নামীয় ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করার কারনেই প্রতারকরা আবারও অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম নামীয় ডিজিটাল প্রতারনার ফাঁদ পেতে নতুন কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জানা গেছে- বেকারত্বের দৃর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানী ও আউটসোর্সিং এর আড়ালে নতুন কৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মৌলভীবাজারে চলছে ডিজিটাল প্রতারনা। শুধু মৌলভীবাজার থেকেই প্রতি মাসে কোটি টাকা অবৈধ ভাবে কামাই করে নিচ্ছে এ প্রতারক চক্র। ইজি আর্ন এর কর্ণধার সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় গত ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর “ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ! মৌলভীবাজারে ইজি আর্ন নামে ডিজিটাল ডলার প্রতারনা” সংবাদ প্রকাশের পর প্রতারকরা স্কাইপাথ ট্রেভেলস নামীয় একটি প্রতিস্টান থেকে গা-ঢাকা দিয়ে শহরে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে ডলার ক্রয়-বিক্রয় শুরু করে। এর পরদিন গত ৭ নভেম্বর রাত ৮: ৫০ টায় ইজি আর্ন এর মৌলভীবাজার প্রধান সেলিম মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক মশাহিদ আহমদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালান। এসময় সাংবাদিক মশাহিদ আহমদের প্রশ্নের জবাবে ইজি আর্ন এর সরকারী অনুমোদন নেই স্বীকার করে সেলিম বলেন, প্রয়োজন আইন মানেনা। সরকারী অনুমোদন না থাকলেও আমরা অবৈধ কিছু করছিনা। এর পরদিন গত ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় শহরের কুসুমবাগ এলাকার হোটেল রেস্ট ইন-এ গ্রাহক সমাবেশ করে, প্রচারিত সংবাদের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালায়। ওই সমাবেশে উপস্থিত গ্রাহকদেরকে মনভুলানো নানা বক্তব্য দিয়ে সকলকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে। এর আগে, উক্ত গ্রাহক সমাবেশে কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ইজি আর্ন এর কর্নধাররা উপস্থিত গ্রহকদেরকে বসিয়ে রেখে পার্শ্ববর্তী কলাপাতা রেষ্টুরেন্টে গিয়ে গোপন শলা-পরামর্শ করে এসে তাড়াহুড়ো করে সমাবেশের কার্যক্রম শেষ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। জানা গেছে- অনিবার্ন বিজনেস সিষ্টেম ও সাবেক ইজি আর্ন এর মৌলভীবাজার প্রধান সেলিমের বাড়ি খুলনা জেলায়। তার পিতা পুলিশের এসআই আকরাম বর্তমানে খুলনায় কর্মরত রয়েছেন। তার নানার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলা সদরের মোকামবাজার (নিতেশ্বর) গ্রামে। নানার বাড়িতে বসবাস করেই সেলিম অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম, ইজি আর্ন, তিয়ানশি, ইউনিপে-টু-ইউ, স্পিক এশিয়া, ডেসটিনি ২০০০, যুবক, নিউওয়ে, বিসিআই, কাজল, আইটিসিএল, আর্থ ফাউন্ডেশন, প্রভাতি, জিজিএন এর মত যেসব মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি এবং এনজিও নামের হায় হায় কোম্পানী কার্যক্রম চালাতেন। সেলিমের প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করছেন স্বর্ণা নামীয় এক নারী। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেন ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা সেলিম ও আলী হোসেন তালুকদার। আর, ঢাকাইয়া সেলিম ও আলী হোসেনকে নিয়ন্ত্রণ করেন ঢাকারই বাসিন্দা মিলণ। উল্লেখ্য- ইতিপূর্বে ইজি আর্ন, তিয়ানশি, ইউনিপে-টু-ইউ, স্পিক এশিয়া, ডেসটিনি ২০০০, যুবক, নিউওয়ে, বিসিআই, কাজল, আইটিসিএল, আর্থ ফাউন্ডেশন, প্রভাতি, জিজিএন এর মত যেসব মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি এবং এনজিও নামের হায় হায় কোম্পানী মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক অথবা উধাও হয়ে গেছে, সেসব প্রতারক কোম্পানীর লোকজনেরাই এখন আউটসোর্সিং এর আড়ালে আবারও তৎপর হয়ে অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম নামীয় নতুন কৌশলে মৌলভীবাজারে ডিজিটাল প্রতারনার ফাঁদ পেতে চলেছে। অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে মৌলভীবাজারে অনিবার্ন সার্ভিস এন্ড বিজনেস সিষ্টেম নামীয় ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সকল আইনশৃংঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে জোর দাবী জানিয়েছে সচেতন মৌলভীবাজারবাসী। দীর্ঘদিন থেকে ইজি আর্ন নামীয় ডিজিটাল প্রতারকরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আবারও প্রতারনা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল এ প্রতিবেদককে বলেন- আপনী লিখেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।