January 16, 2025, 12:44 pm

সংবাদ শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে পেটালেন সিএনজি চালকরা মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ

বদিকে ধরতে হলে প্রমাণ লাগবে: ওবায়দুল কাদের

বদিকে ধরতে হলে প্রমাণ লাগবে: ওবায়দুল কাদের

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে মাদক পাচারের অভিযোগে ধরতে হলে তার আগে ‘প্রমাণ লাগবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরের এ মন্তব্য আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগের এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদক পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আসার পরও কেন সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না- সেই প্রশ্ন কাদেরের সামনে রাখেন কাদের। জবাবে তিনি বলেন, প্রমাণ করতে হবে, প্রমাণ ছাড়া তো কাউকে ধরা যায় না, একজন এমপিকে চট করে ধরা যায় না। প্রমাণ হলে সে যদি অপরাধী হয় অবশ্যই তার শাস্তি হবে। কেবল বদি নয়, মাদকের সঙ্গে সরকারের আরও কোনো প্রভাবশালী যদি জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশ, মাদক ব্যবসার সঙ্গে, ড্রাগ ডিলিংয়ের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, যত প্রভাবশালীই হোক, তাদেরকে অবশ্যই এ অভিযানের আওতায় আনতে হবে। এদিকে, সারা দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদক কারবারিরা অস্ত্র নিয়ে মোকাবেলা করছে বলেই ‘এনকিউন্টার’ হচ্ছে এবং একে বিচার বহির্ভূত হত্যা বলা যায় না। তিনি বলেছেন, এখানে এক পক্ষের হাতে অস্ত্র নেই, অস্ত্র আছে দুই পক্ষের হাতে। যাদেরকে ধরতে যাচ্ছে, তারাও কিন্তু অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করছে। তাহলে পুলিশ কি ওখানে জুঁই ফুলের গান গাইবে? তারা এটার কাউন্টার করবে না? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা দেশে মাদক নির্মূলে যে অভিযান শুরু করেছে, তাতে প্রতি রাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হচ্ছে বহু মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু যেভাবে তাদের দমন করার চেষ্টা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। আর জাতীয় পার্টির নেতা এইচ এম এরশাদ সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, মাদক স¤্রাট তো সংসদেই আছে। তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলান। সরকার নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- করছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের উত্তরে বলেন, তিনি বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- সমর্থন করেন না, কিন্তু সেটা ভিন্ন বিষয়। মাদক যারা ব্যবসা করে এদের একটা সিন্ডিকেট আছে, এদের সন্ত্রাসী আছে, এদের সাথে অস্ত্রধারী আছে। যখন পুলিশ তাদের ধরতে যায়, তখন অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করে, এনকাউন্টার হয়। এনকাউন্টারকে তো বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- এভাবে বলা যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গত সাড়ে নয় বছরের মেয়াদে কোনো দল তাদের রাজনৈতিক সভায় মাদকের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। একটি শব্দও আপনারা উচ্চারণ করেননি। কাজেই এই ব্যপারে কথা বলার কোনো অধিকার আপনাদের নেই। কাদের বলেন, সবাই মিলে সোচ্চার হলে মাদকের বিস্তার ‘এই ভয়ঙ্কর অবস্থায়’ আসতে পারত না। আজকে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হত না। আজকে অভিযান কেন হচ্ছে? জনস্বার্থে করা হচ্ছে একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার অবসানের জন্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, বাংলাদেশের মানুষ এই অভিযানে খুশি। আর সেজন্যই বিএনপির ‘গাত্রদাহ’ শুরু হয়েছে। এটা নিয়ে বিএনপি এত চিৎকার করছে কেন? তাদেরও বহু লোক জড়িত, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। কানাডার ফেডারেল কোর্ট থেকে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী’ দল হিসেবে রায় দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে নতুন করে তো আর কিছু বলার নেই। আগে তারা দেশে ‘সন্ত্রাস’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ দল হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন বিদেশেও। এ ব্যাপারে আর কোনো যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই। কেননা ফেডারেল কোর্ট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন। মন্ত্রী বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশে এসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ খুঁজেছে। সিঙ্গাপুর কথা বলেছে কোকোকে নিয়ে। এ থেকেই বোঝা যায় তারা কেমন। বিআরটিএ’র অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে তিনজন বসার নিয়ম না থাকলেও অনেকেই বসছেন। আবার তারা হেলমেটও ব্যবহার করছেন না। তবে সাধারণ জনগণের থেকে এ অভ্যাসটা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকাদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই বিআরটিএ’র অভিযান চলছে। নিয়ম লঙ্ঘণকারীদের অবশ্যই শাস্তি হবে। ১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বিআরটাএ’র অভিযানে মোট ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৯৭টি মামলা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। ব্রিফিংয়ের আগে মন্ত্রী মানিক মিয়া সড়কের বিভিন্ন মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও বাস চালক এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর