আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
শিক্ষা ও চাকরিতে জাতি এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কোটার বিরোধিতায় ভারত বনধকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্নস্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিহার রাজ্য ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি শহরে সহিংসতায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে কোটা সংরক্ষণের বিরোধীতা করে কয়েকটি গোষ্ঠী অবরোধের ডাক দেয়। এই অবরোধে বিহারের আরা জেলায় সবচেয়ে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের পাটনা, বেগুসারি, লক্ষিসড়াই, মুজাফফরপুর, ভোজপুর, শেখপুরা ও দরভাঙ্গা জেলায় শত শত মানুষ সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদের মুখে স্থানীয় বাজারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ভারত বনধ সমর্থকদের অধিকাংশই দেশটির উচ্চ বর্ণের। এর আগে, গত ২০ মার্চ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর নির্যাতন বন্ধের যে আইন রয়েছে, তা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনো সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দলিতদের বেশ কয়েকটি সংগঠন ভারত বন্ধের ডাক দেয় গত সপ্তাহে। মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও উত্তর প্রদেশে দলিতদের প্রতিবাদ উত্তাল রূপ ধারণ করে। ওই বনধে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটে।ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার বিহারসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের সহিংসতা দেখা দিয়েছে। সহিংসতা ঠেকাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা বাতিল করা হয়েছে। ভারত বনধ সমর্থকরা বলছেন, জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নয়; আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য কোটা রাখা উচিত। যাতে প্রত্যেক সমাজের অনগ্রসর মানুষজন সমাজের মূল ধারায় উঠে আসতে পারে।
সূত্র : এনডিটিভি, দ্য হিন্দু