সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা চায় বিএনপি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনের জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ দাবি জানান। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিএনপির ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য দেন। আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিএনপি নেতা মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ। মির্জা আব্বাস বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা আমাদের চোখে পড়েনি। আওয়ামী লীগের কোনো ইউনিট বা অঙ্গ সংগঠন সেখানে ত্রাণ বিতরণ করছে বলে আমাদের জানা নেই। বরং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপদাপন্ন রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে আমরা শুনেছি। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ ও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সেনা মোতায়নের দাবি জানাচ্ছি- বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির ত্রাণ পরিমাণে বেশি হওয়ায় এবং ত্রাণ তৎপরতায় বিএনপি এগিয়ে থাকায় তাদেরকে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা যদি তার (প্রধানমন্ত্রী ) মতো নামকাওয়াস্তে সামান্য কিছু ত্রাণ নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যেতাম, তাহলে আমাদের বাধা দেওয়া হতো না। যেহেতু আমরা ২২ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে সেখানে গিয়েছি, সেহেতু বিষয়টি তাদের ভালো লাগেনি। তাই আমাদের ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করে এটিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে একটা জাতীয় ঐক্য গঠন ছাড়া কারো একার পক্ষে এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা শুরুর দিকেই বলেছি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াবার লক্ষ্যে চীন ও ভারতে ডেলিগেটস টিম পাঠানো প্রয়োজন। দরকার হলে প্রধানমন্ত্রী নিজে এসব দেশ সফর করতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এমন খবর অস্বীকার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা ঠিক নয়। আমাদের চেয়ারপারসন জাতিসংঘে চিঠি দিলে আপনাদের জানানো হবে।