নিজস্ব প্রতিবেদক:
অতিরিক্ত সচিব, মোঃ তোফাজ্জেল হোসেনের পরিকল্পনা অনুবিভাগ,বর্তমানে তিনি সচিব পদে রুটিন দ্বায়িত্বে আছেন, তাছাড়াও খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায় যে বিগত জুন মাসে তিনি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে বদলী করা হয়, কিন্তু সেখানে টাকা পয়সা কম ইনকাম করা যাবে বিধায় তিনি এই অধিক আর্থিক লাভজনক পদেই (অতিরিক্ত সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের) রয়ে গেছেন তার বিগত ফ্যসিস্ট সরকারের বিভিন্ন ক্ষমতাকে ব্যবহার করে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ে বিগত দিন গুলোতে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে জানা যায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন(এল ডি ডি পী)প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে চলে আসছে,যা কিনা আমাদের দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, নিরাপদ মাংস,দুধ,ডিম,প্রান্তিক কৃষক ও খামারিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা পালন করে আসছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন জন্য বিশ্বব্যাংক সহজ শর্তে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার অধিক ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড, রেজিষ্ট্রেশন নং-সি-৬৯২৭৯(১৭৮১)/০৭,৯৯,লেক সার্কাস,কলা বাগান, ধানমন্ডি, ঢাকা।এর দূনীতি/অনিয়ম সাথে জড়িত।কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডে কাজ দিয়ে তিনি মোটা অংকের টাকা পান ও সহযোগিতা এবং নিয়োগ বানিজ্য করেন।
সেখানে দেখ যায় যে,টাইম শীট নিয়ে হয়রানি ও বেতন বন্ধ রাখা, সরকার কর্তৃক নায্য ভাতাদি প্রদান না করা যেমন, উৎস ভাতা,বৈশাখী ভাতা,যাতায়াত ভাতা,নিধারিত ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন না দেওয়া, চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর বেতন প্রদান। আউট সোসিং পদ্ধতিতে ভুয়া সাটিফিকেট দিয়ে চাকুরী প্রদান করেন।আমাদের কাছে খবর এসেছে এই অতিরিক্ত সচিবের দুর্নীতির কারণে এই বিশেষ প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। একটি টেন্ডারের কেনা কাটা অতিরিক্ত সচিবের সাথে অর্থ লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায় শুধু মাত্র ব্যক্তি উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারায় তাঁরা দুর্নীতি, সরকারি অর্থ সাশ্রয় ও নানা অভিযোগের কথা বলে প্রকল্পটি থেকে অনেক অংশ বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যদিও এই বাদ দেওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের জোরালো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত সচিব এই বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকল্পটি বাদ দিয়ে দেশের বিশাল ক্ষতি, বিশেষ করে প্রান্তিক খামারীদের ক্ষতির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।খবর নিয়ে জানতে পারি এই কাজের পেছনে মুল হোতা হিসেবে জড়িত আছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। উল্লেখ্য যে উনার বিরুদ্ধে নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে কিন্তু বিগত আওয়ামী ফ্যসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি সহজেই এসব বিষয় থেকে পার পেয়ে গেছেন কোন প্রকার বিভাগীয় তদন্ত ছাড়াই।
এই আওয়ামী ফ্যসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও প্রাক্তন মহাপরিচালকের প্রত্যক্ষ মদদে খামারীদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় কাযক্রম বাতিল করা হচ্ছে। যেখানে তাদের রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা যা দেশ ও জাতির আর্থ- সামাজিক ও প্রান্তিক খামারিদের জীবন যাত্রা ঊন্নয়নে মারাত্মক ও অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করছে।
# একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলে জানতে পারে যে এই প্রকল্পের আওতায় আরও একটি প্যকেজ (G-7) কেনাকাটা নিয়ে সচিবদের রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মহাযজ্ঞ্য। উক্ত গং এর কারণে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের আলোকে সর্বনিম্ন রেস্পন্সিভ দরদাতা হওয়ার পরে কোন অদৃশ্য কারণে উক্ত প্যাকেজটির কারযাদেশ প্রদান করা হচ্ছেনা।এই আওয়ামী ফ্যসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও প্রাক্তন মহাপরিচালকের প্রত্যক্ষ মদদে খামারীদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় কাযক্রম বাতিল করা হচ্ছে। যেখানে তাদের রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা যা দেশ ও জাতীর আর্থ- সামাজিক ও প্রান্তিক খামারিদের জীবন যাত্রা ঊন্নয়নে মারাত্মক ও অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করছে।
এই বিষয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এই প্রকল্পের আওতায় দুইটি প্যকেজের (G-97 ও G-100) কেনাকাটা নিয়ে সচিবদের রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মহারন।
(G-97 ও G-100) কাজ দুইটির টেন্ডার হয় যথাক্রমে ০২-এপ্রিল-২০২৪ (G-97) ও ০৩-এপ্রিল-২০২৪ (G-100)। কাজ দুইটি আগে পড়ে হলেও মন্ত্রনালয়ের ঐ দুষ্ট চক্র পরের কাজটি (G-100) তাদের মনোনীত কোম্পানিকে আগেই দিয়ে দেয়, কিন্তু আগের কাজটি (G-97) এর ক্ষেত্রে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থ লেনদেনে সমঝোতা না হওয়ায় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক) সহায়তায় নানা ভাবে দেরি করায় এবং শেষপর্যন্ত কাজটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। বলা বাহুল্য যে এই প্যকেজটি বাদ দেওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এই ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে এই প্যকেজটি বাদ দিতে হলে বিশ্বব্যাংকের কন্সেন্ট (অনুমতি) নিতে হয় যা কিনা এই মন্ত্রণালয়ের সচিবরা নেয়নি যা বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট রুলের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। G-97 প্যাকেজের টেন্ডার প্রসেসটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু মন্ত্রনালয় কেন এখন পর্যন্ত রেস্পন্সিভ দরদাতাকে কাজটি দিচ্ছেনা তা অত্যন্ত দঃখজনক পাশাপাশি সন্দেহজনকও বটে। বিশ্বব্যাংক এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ যদি এই ফান্ড না ব্যবহার করে, তবে তাঁরা ফান্ডটি নেপাল অথবা ভুটানে দিয়ে দেবে। উল্লেখ্য বিশ্বব্যাংক এই ফান্ডটি বৈদেশিক মুদ্রায় (ইউ এস ডলার) দিবে এবং বাংলাদেশ সরকার তা থেকে বাংলাদেশী মুদ্রায় রেস্পন্সিভ দরদাতাকে পেমেন্ট করতে পারবে, তাতে করে দেশের রিজার্ভ কার্যকরী ভাবে বৃদ্ধি পাবে।খবর নিয়ে আরো জানা যায়,অতিরিক্ত সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, রেয়াজুল হক ও সাদেক এগ্রোর মালিক,ছাগল কান্ডের ইমরান জড়িত।