পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায় মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্যালকের পিটুনিতে আহত ভগ্নিপতি (দুলা ভাই) ধুংচিং মং মার্মা (৪০) চার দিন পর নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উহ্লামং মেম্বার পাড়ায়। নিহত ধুংচিং মং মার্মা লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা মার্মা পাড়ার বাসিন্দা মৃত অংথোয়াই অং মার্মার ছেলে। এ দিকে রূপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য উহ্লামং মার্মা জানান, আহত ধুংচিং মং মার্মা (৪০)কে বৃহস্প্রতিবার (১৭ জানুয়ারী) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। কিন্তু চমকে না নিয়ে লামায় নিয়ে আসার সময় ইয়াংছা নাকস্থানে আসলে বৃহস্পতিবার বিকেলে মৃত হয় ধুংচিং মং মার্মা। হামলাকারী ভগ্নিপতি মংচুইসা মার্মা (৩১) উহ্লামং মেম্বার পাড়ার বামং মার্মার ছেলে। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ধুংচিং মং মার্মা ও মংচুইসা মার্মা সম্পর্কে শ্যালক- দুলাভাই হয়। গত রবিবার মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্যালক মংচুইসা মার্মার সাথে দুলাভাই ধুংচিং মং এর সাথে বাকবিডান্ড হয়। এক পর্যায়ে শ্যালক মংচুইসা মার্মা ক্ষিপ্ত হয়ে দুলা ভাই ধুংচিং মং মার্মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতকে দ্রুত উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ধুংচিং মং মার্মাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার দিন চিকিৎসায় থাকার পর তার অবস্থা অবনতি হলে সকালে চমেকে রেফার করে। কিন্তু চমেকে না নিয়ে লামায় নিয়ে আসার সময় ইয়াংছা নাকস্থানে মৃত হয়। ধুংচিং মং মার্মার মৃত্যুর খবর পেয়ে শালা মংচুইসা মার্মা পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নিহত ধুংচিং মং মার্মার লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক:
মো. ইসমাইলুল করিম
বান্দরবান থেকে