অনির্বাণ সামাদঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তিনি বিগত সরকারের হত্যা গুম সম্পর্কে বলেন সিলেটের কৃতি সন্তান ইলিয়াস আলীকে গুম করে কি করা হয়েছে তার স্বজনরা কিছু জানে না। তার স্ত্রী জানে না সে সধবা নাকি বিধবা?
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর অর্থায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরবাজারে দুই হাজার শীতার্ত গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৮ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় এই সব কথা বলেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী বলেন, অন্তবর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন করে স্থানীয় নির্বাচন করে না। স্থানীয় নির্বাচন নির্বাচিত করে। এ সরকারের অধীনে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচন মানে না।
তিনি জামায়াতকে ইঙ্গিত করে বলেন একটি দল আল্লাহ ও ধর্মের দোহাই দিয়ে মাঠে নেমেছে তারা এক ছাত্রলীগ খেয়েছে আবার আরেক দলকে খাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। তাদের থেকে সাবধান হবেন। বিএনপি যারা করে তারা মুসলমান, আল্লাহকে বিশ্বাস করে কিন্তু আল্লাহকে নিয়ে রাজণীতি করে না।
তিনি শেখ হাসিনার শাসনামলকে লক্ষ্য করে বলেন ১৬ বছর পুরো দেশকে জেলে পরিণত করেছিল। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পায়ে হেঁটে জেলে গেলেন আর হুইল চেয়ারে বসে বের হলেন। এই হলো তার নিপীড়ন নির্যাতনের নমুনা।
তিনি আরও বলেন আল্লাহর বিচারে শেখ হাসিনা রান্না করা খাবার ফেলে চোরের মতো কার্গো বিমানে পালিয়ে গেলেন। আর খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিএনপির নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন আমরা ক্ষমতায় যাইনি ক্ষমতার বদল হয়েছে। ক্ষমতায় বসে গেছি মনে করলে ভুল করবে। বিএনপির জন্য সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। কোন অন্যায় করবে না মানুষ যেন ছাত্রলীগের সাথে তুলনা না করে। তিনি আরও বলেন বিএনপির নেতাকর্মীকে হুশিয়ার করে বলেন অপকর্মের অভিযোগে ইতিমধ্যে দুই হাজার নেতাকর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। আরও দুই হাজারকে বহিস্কার করতে দ্বিধা করবে না তারেক রহমান। তাই সময় সকলে সতর্ক হউন। তিনি আরও বলেন ৭৫ সালে তাদের নেতা মারা যাওয়ার পরে আ’লীগ নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির আহমদ শাহীনের সভাপতিত্বে ও আমিরুল ইসলাম সাহেদ, ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম রকির ও হেলাল আহমদের ত্রয়ী সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সলেট বিভাগ) জি,কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ূন। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত, বকশী মিছবাউর, মুজিবুর রহমান মজনু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, স্থানীয় খলিলপুর ইউপি বিএনপির আহবায়ক এমদাদ মো. সিরাজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুল হেকিম, গাজী কামাল আহমেদ প্রমুখ।