দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৪ এপিবিএন সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এসময তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ৪ টি হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশীয় তৈরি ৭টি বন্দুক, চার্জারসহ ২ টি ওয়াকিটকি, ৯ টি গুলি, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত ২ প্যাকেট লোহার বল, ২ টি কিরিচ দা ও কয়েকটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এস-১/বি-৭ ব্লকের কাঁটাতারের সীমানার বাইরে গঁইয়াম বাগানে তাদের আস্তানায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন: উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-৮১ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের এইচ-১০০ ব্লকের ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৪ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) এবং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-১ ব্লকের বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
তিনি জানান, গ্রেফতাররা মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য ও একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।
এপিবিএন এর সহ-অধিনায়ক আরেফিন জুয়েল বলেন, রোববার ভোর রাতে উখিয়া উপজেলার ২০ এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে এমন খবরে এপিবিএন পুলিশের একাধিক দল সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এপিবিএন সদস্যরা ৪ দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে জানা যায, এরা মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা’র সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্হানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, আরসার অত্যাচার ইদানীং খুবই বেড়েছে। অস্ত্র বেচা- কেনা, মাদক নিয়ন্ত্রণ, খুনসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে সাধারণ রোহিঙ্গারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সবসময়ই তারা আতঙ্কে থাকেন।