মোঃ তরিক বিশেষ প্রতিনিধি
রাজবাড়ী থেকে ফিরে ঃ
এশিয়া মহা দেশের মধ্যে বড় যৌন পল্লীর নাম হলো ঢাকা বিভাগ এর রাজবাড়ি জেলার দৌলদিয়া যৌন পল্লী ।বিশ্বব্যাপী মহামারী করনা ভাইরাস এরপর থেকে শুরু হয়েছে যৌন পল্লীতে অসহায় জীবন যাপন।এর পরে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সব গাড়ি চলে যায় পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় সেজন্য দৌলদিয়ায় তাদের লোক কম হয় ।তাতে তাদের মধ্য শুরু হয় হাহাকার ও কষ্ট ।এই পল্লীতে প্রায় পাচ হাজারের বেশি যৌন কর্মী রয়েছে । তাদের মধ্য ৫০ বছরের নারী রয়েছে এক হাজারের অধিক ।এখানে বাড়ি রয়েছে প্রায়৩ হাজারের বেশি।পল্লীতে প্রায় বয়স্ক নারী রয়েছে ৩০০ জনের অধিক ।
পল্লির নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আগের মত এখন আর ঘাটে গাড়ি পারাপার হয় না জ্যাম লেগে থাকে না তাই লোক হয় না।তাই কাজের সংকট সৃষ্টি হয়েছে আমরা এখন এখান থেকে চলে যেতে চাই ।এখানে একটি সংগঠন রয়েছে
যার নাম অসহায় নারী ঐক্য সংগঠন । সেই সংগঠনের সভাপতি ঝুমুর খানম এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তিনি বলেন সরকার যদি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে
থাকার ব্যবস্থা তাদের করে দিতেন তাহলে তারা এখান থেকে চলে যেত । উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তিনি বলেন বয়স্ক নারীদের একটা তালিকা করে দেন আমাদের কাছে এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল সহ তারা বলেন তাদের জন্য আমরা সর্বপ্রকার সহযোগিতা করব । ওই এলাকার জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় একটি কুচক্রী মহল এই পুনর্বাসন যাতে না হয় তার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যৌনপল্লী বাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন।