January 15, 2025, 1:02 pm

সংবাদ শিরোনাম
তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সড়কের দূর্ভোগ ৩০ বছরের ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
 কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘ ৬বছরের সংস্কার হয়নি সেতু। ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। শুধু সেতুই নয় ওই এলাকার কাঁচা সড়কটিও প্রায় ৩০বছর থেকে সংস্কার কিংবা নতুন করে করারও পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সকল উন্নয়ন থেকে বরাবরই বঞ্চিত তারা।
 সরেনজমিনে  উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারী-নয়াবস এলাকায় সেতু নির্মাণের তিন মাসের মাথায় বন্যার তোড়ে ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় সড়কটিও। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু ও সড়ক কোনটিও আর মেরামত করা হয়নি। এতে নয়াডারা, মজারটারী, চরোয়ার পাড় ও নয়াবাশ এলাকার হাজারো মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানাযায় , গ্রামীণ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। এর ৩ মাসের মাথায় বন্যার পানির তোড়ে সেতুর দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুটিও ধ্বসে গিয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তখন থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবস এলাকার রবিউল ইসলাম (৫০) বলেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে সেতুটি তৈরির ফলে অল্প দিনেই এ অবস্থা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এখন চলাচল করতে হয়।
একই এলাকার জয়নাল হক (৫৫) বলেন, সেতু তৈরির কয়েক মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কসহ সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে চলাচল করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়েছে।
স্থানীয় ফয়জার আলী ও জামেলা বেগম জানান, শুকনা মৌসুমে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। তারা আরো জানান, সড়কটিও দীর্ঘ ৩০ বছরে সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গা সড়কে চলতে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সিরাজুদৌলা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও)মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটির বিষয়ে ত্রাণ শাখায় কথা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর