মো. আ. রহিম সজল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ কালভার্ট তৈরি
হলেও দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় যাতায়াতে এলাকার মানুষকে পড়তে হয়েছে
বিপাকে। দুই পাশেই কাঠের সিঁড়ি (মই) তৈরি করে এলাকাবাসীকে কালভার্টের
উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ দুই বছর
আগে কালভার্ট তৈরির কাজ শেষ হলেও দুইপাশে মাটি ভরাট না করে ফেলে রাখা হয়।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের নয়াগাঙ্গুলি খালের ওপর
নির্মিত কালভার্টের এ দূরাবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্ট নির্মিত হলেও করা হয়নি সংযোগ সড়ক।
যে কারণে কালভার্ট ব্যবহার উপযোগী করতে উভয়পার্শ্বে কাঠের সিঁড়ি তৈরি করে
পায়ে হেঁটে যাতায়াত করলেও কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে
চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে কোমলতি শিক্ষার্থীসহ হাজারো এলাকাবাসী। বিশেষ
করে নারী ও শিশুদের যাতায়াতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নন-
মিউনিসিপল প্রকল্পের আওতায় সিরাজ ইলেকট্রিশিয়ানের বাড়ি থেকে পূর্ব
সুবিদখালী ওয়াপদা পর্যন্ত ৭ মি. ৫৪০ মিঃ ও ৯৯০ মিটার চেইনেসে তিনটি বক্স
কালভার্ট নির্মানের জন্য দরপত্র আহŸান করে উপজেলা এলজিইডি। এতে ৪৭ লক্ষ ৭২
হাজার ৮১৯ টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় পটুয়াখালীর মেসার্স লিংক ট্রেডার্স।
কিন্তু দুই বছরের অধিক সময় পার হলেও সিরাজ ইলেকট্রিশিয়ানের বাড়ি সামনে
কালভার্ট নির্মিত হলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে কাজে আসছেন
ব্যয়বহুল এ কালভার্টটি। অন্য দুটি কালভার্টের একটি কাজ ঢিলেঢালা ভাবে চলছে।
অন্যটির কোন খবরই নেই। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন খুব শীঘ্রই কাজ শুরু
করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর ও শাহীনসহ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, নতুন কালভার্ট
হয়েছে ঠিকই কিন্তু উঠার রাস্তা না করায় ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে পার
হতে হচ্ছে। এখন তো কোন মতে সিঁড়ি দিয়ে চলাচল করছি কিন্তু বর্ষা মৌসুম
এলে তাও করা যায় না। তখন সিঁড়ি দিয়ে পিছলে পড়ে আহত হয় এমনকি মৃত্যুর
কোলেও ঢলে পরার সম্ভাবনা থাকে। তাই দ্রুত কালভার্টে উঠার জন্য রাস্তা নির্মানের
দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিংক ট্রেডার্সে
স্বত্বাধিকারী মোঃ নিপুণ বলেন, কালভার্টের সাথে সংযোগ সড়ক ধরা নাই তাই
আমি রাস্তা করিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান জানান, দ্রুত কালভার্টের সংযোগ সড়ক
নির্মান করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।