এস এম মিলন ক্ষেতলাল প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে
ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের নিয়োগে
অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আনসার ও
ভিডিপি কর্মকর্তা বেগম ওবায়দা খানমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, আমার সঙ্গে লেগে লাভ নাই” আমার স্বামী একজন
মুক্তিযোদ্ধা, তাকে কি জানাবো ? সে জানলে আপনাদেরকে গড়াগড়ি
করাবে।
জানা গেছে, ২৭ জুলাই ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে
৯টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পিসি,
এপিসিসহ মোট ৮১ জন সাধারণ আনসার সদস্য। এ নির্বাচনে পাঁচ
দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য পিসি,এপিসি ভাতা পাবেন ২
হাজার ৬২৫ টাকা এবং সাধারণ আনসার সদস্য পাবেন ২ হাজার ৩৭৫
টাকা। চুড়ান্ত বাছাইয়ে নাম অর্ন্তভূক্ত করতে প্রত্যেককে অফিস খরচ
বাবদ প্রায় ৭- ৮শত টাকা ঘুষ দিতে হয়।
গত ২৪ জুলাই রোববার সকাল ১০ টায় ক্ষেতলাল আনসার ও ভিডিপি
কার্যালয়ের সামনে প্রায় দুই শতাধিক আনসার বাহিনীর সদস্য
উপস্থিত হয়। জেলার প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করেন,আক্কেলপুর
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা ও
ক্ষেতলাল উপজেলা কর্মকর্তা বেগম ওবায়দা খানম।
এ বিষয়ে বিনাই গ্রামের আনসার সদস্য আঃ মান্নান বলেন, তারা
(বেগম ওবায়দা খানম) আমার কাছ থেকে ৮শত টাকা চেয়ে ছিল, আমি ৫
শত টাকা দেওয়ায় কারনে চুড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়। বিষয়টি
জানার পর, পরের দিন অন্যের কাছ থেকে আবার ২শত টাকা ধার নিয়ে এসে
আজ দিলে আমার নাম চুড়ান্ত তালিকা করে।
অপর ভূক্তভোগী আমানি পাড়া গ্রামের নাহিদ সুলতান বলেন, আমার
গ্রামের একজন কমান্ডার আছে ওনি’ত ৭শত টাকা দিল। আমার এলাকায়
আরো কয়েকজন আছে তাদের কাছ থেকেও ৭০০-৮০০ টাকা নিয়েছে
বেগম ওবায়দা খানম।
আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান,উজ্জল হোসেনসহ নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেন, টাকাত দিতেই হবে (বেগম ওবায়দা
খানম)কে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৬-৮শত টাকা নিয়েছে। আমার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল আমি না দেওয়ার কারনে সে আমার কাগজ ছিড়ে
ফেলেছে।
আক্কেলপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম
মাহমুদা বলেন, আমি জেলার প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষেতলাল পৌরসভা
নির্বাচনে আনসার সদস্য বাছাই করতে গিয়েছিলাম, প্রত্যেকের
কাগজ পত্র যাচাই বাছায় করে চুড়ান্ত তালিকা করেছি। আর্থিক
লেনদেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। জেলা কর্মকর্তাকে
অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেগম ওবায়দা খানম বলেন, চুড়ান্ত বাছাইয়ের সময় আমি
এবং আক্কেলপুরের অফিসার ছিল। চুড়ান্ত বাছাই তারা করে গেছে আমি
কারও কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করিনি। টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে
চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা
আমার পিছনে লেগে কোন লাভ নাই, তাকে জানাবো সে জানলে
আপনাদেরকে গড়াগড়ি করাবে।