October 6, 2024, 9:42 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস

আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ২০১১ সালে গৃহপরিচারিকা/পরিচারকদের কাজকে শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কনভেনশন ১৮৯ প্রকাশ করে। পরে ১৬ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এই কনভেনশনটি গৃহীত হয়েছে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সমীক্ষা বলছে, গত বছর ৩৮ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের মধ্যে ১২ জন নিহত হন, দুজন আত্মহত্যা করেন। ২০২০ সালে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৪৪ জন গৃহশ্রমিক, এরমধ্যে নিহত হয়েছিলেন ২০ জন। আর চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে নিহত হয়েছেন তিনজন।

গৃহশ্রমিকরে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও গত বছর করা বিলসের জরিপ বলছে, সংখ্যাটি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। ঢাকাসহ সারাদেশে যারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাদের ৯৫ ভাগের বেশি নারী ও মেয়েশিশু। নিয়োগকারীর সঙ্গে ৯৯ শতাংশের বেশি গৃহশ্রমিকের কোনো লিখিত চুক্তি নেই। করোনাকালে ২৮ দশমিক ২ শতাংশ গৃহশ্রমিকের মজুরি কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার আগেও গৃহকর্মীদের অবস্থা নাজুক ছিল। তারা শ্রমিক হিসেবে কখনো স্বীকৃতি পাননি। ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ এর আওতাবহির্ভূত রাখায় তারা মানবিক অধিকার, শোভন কর্মপরিবেশ, ন্যায্যমজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত। বেশির ভাগ গৃহকর্মীকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের কনভেনশনে গৃহশ্রমিকের অধিকার ও কাজ সম্পর্কে যে বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে– কাজের জায়গায় সম্মানজনক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, গৃহশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি থাকবে, তাদের ইউনিয়ন তৈরির অধিকার থাকবে, নিয়োগকারী ও শ্রমিকদের মধ্যে চুক্তিপত্র থাকবে, নির্দিষ্ট ছুটি থাকবে, শিশুশ্রমিক না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, সময়মতো বেতনের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যৌন হেনস্তার মতো ঘটনা প্রতিরোধের যেন ব্যবস্থা থাকে ইত্যাদি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর