September 21, 2024, 8:18 pm

সংবাদ শিরোনাম
কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নিম্ন আদালত সরকারের কব্জায়, সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতা বিচারকদের নেই: খালেদা জিয়া

নিম্ন আদালত সরকারের কব্জায়, সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতা বিচারকদের নেই: খালেদা জিয়া

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দেশের নিম্ন আদালত সরকারের কব্জায় থাকায় সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতা বিচারকদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ডাকা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার এ বক্তব্য আসে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল লো মেরিডিয়ানে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাড়ে চারশর মতো সদস্য ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা সভায় অংশ নেন। সভার উদ্বোধনী পর্বের ভাষণে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের নিম্ন আদালত যে ‘সরকারের কব্জায়’, তা ‘সর্বোচ্চ আদালতও’ বলছে। সরকারের কথার বাইরে, ভাবনা চিন্তা যাই থাকুক না কেন, তারা বুঝতে পারছে যে এটা সঠিক নয়, কিন্তু সঠিক রায় দেওয়ার ক্ষমতাটা তাদের নেই। আগামি ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তার বড় ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এ মামলার আসামি। মুদ্রা পাচার মামলায় জজ আদালতে খালাস পেলেও হাই কোর্টে তারেকের সাত বছরের সাজা হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে খালেদা তার বক্তৃতায় বলেন, সঠিক রায় দিলে যে কি হতে পারে সেটা আপনারা দেখেছেন….তারেক রহমানের সঠিক রায় দেওয়া হয়েছে যে আদালতে, সেই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ‘সত্যি কথা বলায়’ সরকার তাকে দেশের বাইরে যেতে এবং পদত্যাগ করতে ‘বাধ্য করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, এই সংসদ রেখে নির্বাচন হবে না: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় নির্বাচন ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে’ করার দাবিতে অনড় অবস্থানের কথা আবারও তুলে ধরেছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ কয়েকটি শর্ত তুলে ধরেছেন। সরকারের উদ্দেশে খালেদা বলেন,হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি বন্ধ করে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করুন। আমরা কখনো প্রতিহিংসা করব না। বিএনপি চেয়ারপারসনের শর্তগুলো হল- জাতীয় নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে; এই সংসদ রেখে নির্বাচন হবে না। ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে নিরপেক্ষতার সঙ্গে। কোনো ‘ইভিএম-টিভিএম’ চলবে না। ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যোগ হওয়ার পর সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন ওই নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হয়। এর মধ্যে দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে বিএনপি জয়ী হয়। ২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে রাজনীতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকে; তখনই এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০১১ সালের ১০ মে এক রায়ে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই বছরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার। শুরু থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তা ঠেকানোর আন্দোলনে নামে। অন্যদিকে নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি জোটের ওই আন্দোলন এবং নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে তাদের তিন মাসের অবরোধে নাশকতায় অন্তত দুইশ মানুষের প্রাণহানি হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ওই দিনটি বিএনপি পালন করে আসছে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারিকে পালন করে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আওয়ামী লীগ আগামি মেয়াদেও ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে তাদের বাইরে রেখেই ভোট করতে চায়। ফলে ক্ষমতাসীনদের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই তাদের বিশ্বাস। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামি নির্বাচন না হলে জনগণ তা মেনে নেবে না- এমন কথাও বিএনপি নেতারা বলে আসছেন। অন্যদিকে অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, আগামি নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীনদের অধীনেই হবে। আর তাতে অংশ না নিলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। চলতি বছরের শুরুতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধান মেনে, অর্থাৎ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই চলতি বছর শেষে একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক’ সরকারের যে দাবি বিএনপি জানিয়ে আসছে, তাকে ‘অসাংবিধানিক সহায়ক সরকারের দাবি’ আখ্যায়িত করে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। হোটেল লো মেরিডিয়ানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনে খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে’ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হবে আমাদের শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক। সেই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি যে হবে, সেই কর্মসূচিতে আমি জনগনকেও আহবান করব।

ঐক্যের ডাক: দুর্নীতি মামলার রায় সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের অভয় দেওয়ার পাশাপাশি ‘যে কোনো বিপদ মোকাবিলায়’ সবাইকে ঐক্যদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, আমি যেখানে থাকি না কেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। নির্বাহী কমিটির চার শতাধিক সদস্য এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সামনে সভার উদ্বোধনী পর্বে খালেদা জিয়া বলেন, বিপদ এলে সবাই একসাথে মোকাবিলা করব, সুদিন এলেও আমরা সবাই এক সাথে দেশের জন্য কাজ করব। আমাদের সাহস সঞ্চয় করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। খালেদা জিয়া যখন সম্ভাব্য ‘বিপদ’ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, উপস্থিত বিএনপি নোতার তখন স্লোগান দিতে থাকেন- ‘আমার নেত্রী, আমার মা/ জেলে যেতে দেব না, বন্দি হতে দেব না’। আশির দশকে এইচ এম এরশাদের সময়ে গৃহবন্দি হতে হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। আর ২০০৭-০৮ সময়ের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাকে গ্রেফতার করার পর সংসদ ভবন এলাকার একটি ভবনকে উপ কারাগার ঘোষণা করে তাকে সেখানে রাখা হয়েছিল। আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে এরশাদের পর খালেদা জিয়া হবেন দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সরকারপ্রধান। অবশ্য খালেদা জিয়া ও তার দল দাবি করে আসছে, তিনি দুর্নীতি করেননি এবং তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই আওয়ামী লীগ সরকার ওই ‘মিথ্যা মামলা’ টেনে রায়ের পর্যায়ে এনেছে। খালেদা বলেন, আমাকে কেউ ভয়ভীতি, লোভ দেখিয়ে কিছু করতে পারবে না। অতীতেও পারেনি, এখনো পারবে না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছি, আমি দেশের মানুষের সঙ্গে আছি, দেশের মানুষের সঙ্গে থাকব। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা বলেন, আজ এই নির্বাহী কমিটির সভা থেকে আমি সবাইকে বলব, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আপনাদের বিরুদ্ধে বহু সন্ত্রাস হবে, ষড়যন্ত্র হবে, নানাভা্বে হয়রানি করার চেষ্টা করা হবে। আমরা কেউ ভয়ে ভীত হব না। রায়ের তারিখ ঠিক হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও তখন কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। তৃণমূল নেতাদের মতো নিয়ে কর্মসূচি ঠিক করা হবে বলে দলটির পক্ষ সে সময় জানানো হয়েছে। সারা দেশ থেকে আসা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সঙ্গে দুপুরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসার আগে সভার উদ্বোধনী পর্বে কর্মসূচি নিয়ে ইঙ্গিত দিলেও তা স্পষ্ট করেননি খালেদা। তিনি বলেন, এই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হবে আমাদের শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক। সেই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে আমি জনগণকেও আহ্বান করব। আসুন দেশের জনগণ, বিএনপি ও ২০ দল- সকলে মিলে এদেশটা রক্ষা করি, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনি। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করি। অন্যান্য রাজনীতিক দলকেও এই ‘জাতীয় ঐক্যে’ শরিক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেত্রী। পাশপাশি দলের সিদ্ধান্ত ‘অমান্যকারীদের’ বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। যারা বেঈমানি করবে, যাঁরা এদিক-ওদিক, এক পা এদিক অন্য পা অন্য দিকে রাখবে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এদের মূল্যায়নের জায়গা থাকবে না। এদের তারাও (সরকার) নেবে না, আমরাও নেব না। আমরা আগে একবার ক্ষমা করেছি, ক্ষমা বারবার হয় না।

নির্বাহী কমিটির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার কর্ম অধিবেশনে বসেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাজধানীর খিলক্ষেতের লো মেরিডিয়ান হোটেলে নির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনী পর্বের পর বেলা সোয়া ১টায় এই কর্ম অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম বক্তা হিসেবে কর্ম অধিবেশনে বক্তব্য দেন দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এই অধিবেশন দলের তৃণমূলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বলেন, রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে দেশের চলৎ রাজনীতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন সামনে রেখে করণীয় সম্পর্কে তৃনমূলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত শুনে চেয়ারপারসন যথাযথ নির্দেশনা দেবেন। নির্বাহী কমিটির এই বৈঠক বিকেল ৫টার পরে শেষ হয়। এর আগে উদ্বোধনী পর্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং লন্ডনে অবস্থানরত দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি ভিডিও বক্তৃতা দেখানো হয়। উদ্বোধনী পর্বে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগামি বিএনপির অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি নিম্ন আদালতে ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা দুর্নীতি মামলার রায় নিয়েও তিনি কথা বলেন। লো মেরিডিয়ানের গ্র্যান্ড বলরুমে এই সভার উদ্বোধনী পর্বে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাড়ে চারশর মতো সদস্য ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৬ সালের মার্চে ষষ্ঠ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের আগে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল। তখনকার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই ওই সভায় সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে চার মাস পর ৫০২ সদস্যের বর্তমান কমিটি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এরপর এই প্রথম ওই পর্যদের নেতাদের নিয়ে বসেছেন তিনি, যদিও বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছয় মাস পরপর এই সভা হওয়ার কথা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর