কাজের বিপুল চাপ, জীবনকেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা, অবসাদ, মানসিক উদ্বেগ— সব মিলিয়ে মানুষের ঘুমের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ঘুমের অভাবে নানা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম অনেক শারীরিক সমস্যার অবসান ঘটায়। প্রাথমিকভাবে কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
ঘুমের অভাবে কী কী শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে?
শরীরচর্চা না করা, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা—ওজন বৃদ্ধির পেছনে এই কারণগুলোকে ধরা হতো। গবেষণা বলছে, ঘুমের ঘাটতি থাকলেও বাড়তে পারে ওজন। শুধু তা-ই নয়, কোওন মানুষের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের।
চিকিৎসকদের মতে উচ্চরক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। তবে আজকালের এই নিদ্রাবিহীন জীবনযাপনও বাড়াতে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন’ এর করা গবেষণা তা-ই বলছে।
ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যোগসূত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা হয়ে আসছে। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে বলেছেন পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য। অনেক দিন ধরে ঘুমের ঘাটতি কারণে গ্রাস করতে পারে মানসিক অবসাদ।
প্রত্যেকের শরীরে একটি স্বতন্ত্র ক্ষমতা থাকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার। যে কোনো রোগের প্রাথমিক ঝড় শরীর নিজেই সামাল দেয়। সেই প্রতিরোধ শক্তি হ্রাস পায় যখন শরীরে ঘুমের ঘাটতি ঘটে। দিনের পর দিন কম ঘুমানোর প্রভাব পড়ে শরীরের ভেতরে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা হারাতে থাকে শরীর।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা যায়। ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ট্রাস্টে়ড’ এর একটি গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বদহজম, বুক জ্বলার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের পরিমাণের ওপর পরিপাক ক্রিয়ার ভালোমন্দ নির্ভর করে। ঘুম কম হলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা দেখা যায়।
কোন বয়সের মানুষের কতটুকু ঘুম প্রয়োজন?
১) সদ্যেজাত: ১৭-১৮ ঘণ্টা