স্পোর্টস ডেস্ক :: পিডিনিউজ২৪.কম ।।
জীবন্ত কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা পেলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) তাকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরআগেও কোলন টিউমারের চিকিৎসার জন্য ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা পেলে প্রায় এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যেটার অস্ত্রপচার করা হয়েছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে (৪ তারিখ)। এ হাসপাতালেই কোলন টিউমার ধরা পড়ে পেলের, এরপর ৬ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর কিছুদিন আইসিইউতে থাকার পর বাসায় ফিরেছিলেন পেলে পরে অবশ্য আবারও আইসিইউতে ভর্তি হতে হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছিল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যার কারণে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া। আর সংবাদ সংস্থা এএফপি লিখেছে, পেলের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল।
এবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়ছে, এবার তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হবে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পেলের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে তারা। এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘রোগী স্থিতিশীল আছেন। আমাদের অনুমান অনুযায়ী, কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বাস্থ্যগত বেশ কয়েকটি সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার পেলেকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে কয়েকবার বসতে হয়েছে অস্ত্রোপচারের টেবিলে। এর আগে করা অস্ত্রোপচারের কারণে অন্য কারও সহায়তা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।
ফুটবলের রাজার ছেলে এর আগে জানিয়েছিলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকেই তার বাবা বিষণ্ন হয়ে পড়েছেন। ছেলের এহেন কথা পরে সেটি অস্বীকার করেছিলেন পেলে। সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভিডিও প্রকাশ করে বলেছিলেন, তিনি প্রতিদিনই ভালো বোধ করছেন।
একনজরে ৮১ বছর বয়সী পেলে :
> বিশ্বের একমাত্র ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে।
> জাতীয় দলের হয়ে ৯২ ম্যাচে মাঠে নেমে ৭৭ গোল করে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে আছেন তিনি।
> ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি জোড়া গোল করেছিলেন সুইডেনের বিপক্ষে। আর ব্রাজিলকে উপহার দিয়েছিলেন প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা।
> ১৯৭৭ সালে অবসরে যাওয়ার আগে তিনি ফুটবল ক্যারিয়ারে ১ হাজারেরও বেশি গোল করার নজির স্থাপন করেন।