January 16, 2025, 3:39 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

নোয়াখালীতে এনজিওর কিস্তি ভোগান্তিতে রোজগারহীন বহু ঋণ গ্রহক

এ.এস.এম রিজোয়ান নোয়াখালী প্রতিনিধি ঃঃ

 

জেলার ৯ টি উপজেলার কয়েক লাখ এনজিওর গ্রাহক দীর্ঘ লকডাউনে পড়ে কিস্তি আদায় ভোগান্তিতে আয় রোজগারহীন হাজার হাজার ঋণ গ্রহিতা।সরকারের সঠিক নির্দেশনা না থাকায় সরকারি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ ও মাঝারি ঋণ প্রদান প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের ইচ্ছে মাফিক কঠোর লকডাউনের মধ্যেই ঋণ এর কিস্তি আদায় করছে। শহর ও প্রান্তিক পর্যায়ের অসহায় মানুষ থেকে এনজিওর কর্মিরা। মাঠ পর্যায় অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় ঋনের কিস্তির চাপে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয় রোজগারহীন ঋণ গ্রহিতারা । ভুক্তভোগী ঋণ গ্রহকরা জানান দীর্ঘ সময় চলমান কঠোর লকডাউন চলাকালিন প্রান্তিক পর্যায় বানির্জিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ সহ দিন মজুরের আয় রোজগার একেবারেই বন্ধ। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জিবন জিবীকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যেখানে ঋনের কিস্তির মাসিক টাকা পরিশোধ করা সাধারন মানুষের কাছে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মাসিক ঋনের কিস্তি পরিশোধে বিলম্ব হলে অতিরীক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিলম্ব ফি গুনতে হয়। আবার মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋণ গ্রহকদের অপমান অপদস্ত সহ নানান ভাবে নাজেহাল করছে । নোয়াখালী জেলার চাটখিল , সোনাইমুড়ি, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জ, সুবর্ণচর, হাতিয়া, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ব্রাক, আশা, উদ্দিপন, পল্লি সঞ্চয় ব্যাংক, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, শক্তি ফাউন্ডেশন, কোডেক, পল্লি মঙ্গল কর্মসূচি, সি এম এস এনজিও, দীপ উন্নয়ন, রিক, পপুলার, পিদিম ফাউন্ডেশন, আর ডি আর এস বাংলাদেশ, গ্রামিন ব্যাংক, টি এম এস এস, মাল্টি পারপাস, ইত্যাদি শতাধিক এনজিও প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ব্যাংকে সাধারন মানুষের ক্ষুদ্র ঋণ ও মাঝারি ঋণ নিয়ে কার্যক্রম চলছে। একের পর এক লক ডাউনের কবলে পড়ে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতা অসহনীয় জীবন জিবিকা করাল গ্রাসে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঋণ গ্রাহকরা মাসিক কিস্তি সহ বিভিন্ন দায় দেনা পরিশোধে বিপাকে পড়েছে। অধিকার বঞ্চিত প্রান্তি অসহায় মানুষ গুলোর উপর কোন দয়া সরকারের ও নেই। অপর দিকে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হলে ও তা প্রতিকারের সরকারের কোন ব্যবস্থা নেই। ঋণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রান্তি মানুষের প্রতিটি পরিবারের কর্মক্ষম অভিভাবকগন কর্মহীনে পড়ে। ১। পারিবারিক ভরন পোষন , ২। পাওনাদারের দেনা পরিশোধ, ৩। মাসিক ঋনের কিস্তি, ৪। সাপ্তাহিক ঋনের কিস্তি, ৪। সন্তানদের লেখা পড়ার খরচের , শিক্ষা উপকরন, মাসিক বেতন, পরিক্ষার ফিস সহ ইত্যাদি ব্যায়। ৫। বিদ্যুৎ বিল, ৬।গ্যাস বিল, ৭।বাসা বাড়া, ৮।দোকান বাড়া, ৯।চিকিৎসা খরচ, ১০।বিবিধ ব্যায় মিটাতে লকডাউনের কারনে সাধারন মানুষের অবস্থার কি পরিণতি হবে। সরকারের এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই। ফলে অসহায় গরীব নাগরিকের জীবন মান দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এ দিকে বিদ্যুৎ বিল কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ গ্রহককে প্রতিনিয়ত ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিচ্ছে। লকডাউনের কারনে নিত্য পন্য সামগ্রির মূল্যে ক্রয় সীমার বাহিরে চলে গেছে। মহামারির কারনে পাশ্ববর্তি ভারতে ও প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে একাধিক বার প্রনোদনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে ২-৩% পরিবার ও রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রনোদনার আওতায় আসেনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতির কারনে । এ বিষয়ে প্রান্তিক অসহায় মানুষের প্রতি সুস্পস্ট নির্দেশনার লক্ষে ভুক্ত ভোগী সাধারন মানুষ প্রধানমন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষন সহ জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর