মিজানুর রহমান,বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃঃ
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আমন চাষে ধুম পড়েছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে অত্র এলাকার কৃষকরা। চলতি আমন চাষ মৌসুমে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে কৃষকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে। স্বরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকগণ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, আবার কেউ জমিতে চারা রোপন করছেন। অত্র এলাকায় বিগত কয়েকদিন বৃষ্টি না থাকায় জমি প্রস্তুতসহ রোপন উপযোগী করতে সেচ মেশিন ব্যবহার করছে। ভোরের সূর্য দেখার সাথে সাথেই কৃষক-শ্রমিকরা চারা রোপনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে কৃষক শ্রমিকরা জমির চারা রোপনের জন্য জমি মালিকের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে নেয়।
চলতি আমন চাষ মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় গড়ে ২১,০০০(একুশ হাজার) মেট্টিক টন (চাউল) উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে আমন চাষিরা সঠিকভাবে যেন অধিক ফলন ঘরে তোলতে পারেন সে বিষয়ে চাষ – আবাদ ও পরিচর্যা সম্পর্কে উপজেলা কৃষি অফিস উপ-সহকারী মাঠ কর্মকর্তা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা মাঠে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট (দঃ) ইউনিয়নের ললিয়াপুর গ্রামের কৃষক মোঃ নূর চান মিয়া জানান, আমার ১০ কিয়ার জমির মধ্যে ৬ কিয়ার জমি উপসী জাতের ধান রোপন শেষ। বাকি ৪ বিঘা জমি স্থানীয় জাতের ধান রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করা হইছে। চারা উত্তোলন করা অইলে রোপনের কাজ শেষ অইব। ফলস ভালা পাইলে পরিবার পরিজন লইয়া ভালা চলতাম পারমো তাই কষ্ট কইরা জমির ধান লাগাইতাছি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দিপক রঞ্জন দাস জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ৮,৭০০( আট হাজার সাত শত) হেক্টর জমি আমন ধান রোপনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ৯০০ ( নয় শত) হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান ও বাকি ৭,৮০০ ( সাত হাজার আট শত) হেক্টর জমিতে উফসী জাতের ধান রোপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে, উচু অঞ্চলে আমন রোপনের কাজ শেষ। মধ্যাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের আমন রোপন চলমান। প্রায় ৭০ ভাগ জমি রোপনের কাজ শেষ। ফলন ভাল হলে এ মৌসুমে গড়ে প্রায় ২১,০০০ ( একুশ হাজার) মেট্টিক টন (চাউল) উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।