আবু তালহা তোফায়েল :
দেশের প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পট হচ্ছে সিলেটের বিছনাকান্দি। ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পিয়াইনের বুক চিরে স্বচ্ছ পানিতে গা ভাসিয়ে আনন্দ উপভোগ করে হাজারো পর্যটকরা। প্রতিনিয়ত দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে পর্যটকদের সমাগম ঘটে বিছনাকান্দিতে। পাহাড়ের পাদদেশে আর সবুজের সমারোহে হিমেল হাওয়ার আলাদা এক স্বাদ অনুভব করে পর্যটকরা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে বিছনাকান্দি।বহুল পরিচিত এ পর্যটন স্পট বিছনাকান্দি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।প্রতিনিয়ত হাজারও পর্যটকরা বিছনাকান্দিতে আসা-যাওয়া করে রুস্তমপুর ইউনিয়নের সড়ক ও নদীপথে। পর্যটকদের সমাগমে এই অঞ্চলের মানুষ পুলকিত ও গর্বিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আসা-যাওয়ার পথে গাড়িতে কিংবা নৌকায় উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড সিস্টেমে/মাইকে অশ্লীল ও কু-রুচিপূর্ণ নৃত্য ও গানবাজনার দরুন মসজিদ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে মুসল্লীদের উপাসনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে এবং এ অঞ্চলের মাদরাসা, স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানে বাঁধা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ধর্মীয় অনুশাসনের কঠোর প্রবান্ত হিসেবে বৃহত্তর জৈন্তার একটি সুখ্যাতি সারা দেশে স্বীকৃত। কিন্তু কিছু পর্যটকদের এহেন অশ্লীলতার কারণে এলাকার ছেলে মেয়েদের মারাত্মক নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। সর্বোপরি শব্দদূষণের মত ভয়ংকর সামাজিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।এতে সার্বিকদিক বিবেচনা করে আজ ১০ আগস্ট (সোমবার) গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিবের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার পক্ষে মোহা. আখলাকুল আম্বিয়া, মোহা. আল-আমিন, রুহুল আমিন, বোরহান উদ্দিন ও আব্দুস সোবহান।এতে তারা পর্যটকদের গাড়ি কিংবা নৌকায় উচ্চ আওয়াজে/মাইকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ নৃত্য ও গানবাজনা বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। সাথে সাথে রাস্তা এবং নদী পথের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোড়ে গানবাজনা বিরোধী জনসচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমতি চান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১০ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল