ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোরী ‘ধর্ষণের শিকার’, সালিশে মীমাংসা
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ‘ধর্ষণের ঘটনা’ অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাকসিঁড়ি গ্রামে শুক্রবার এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত শনিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যরা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে দেন।
স্থানীয় নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাকসিঁড়ি গ্রামের আরমান আলীর ছেলে আবু বক্কর প্রতিবেশী দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরী ও আবু বক্করকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে স্থানীয়রা রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুরেণকে খবর দেন বলে জানান নাজমুল।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার দুপুরে সালিশ বৈঠকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ওই টাকা মেয়ের বাবাকে দেওয়া হবে। মেয়ের ভবিষ্যতর কথা চিন্তা করে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমি চেয়েছিলাম আইনের আশ্রয় নিতে; কিন্তু চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ প্রভাবশালী লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে দেয়নি। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, মেয়ের পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।