January 15, 2025, 6:02 pm

সংবাদ শিরোনাম
তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আবৃত্তিগুরু সালাউদ্দিন মাহমুদ বাকরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, শাহ মোহাম্মদ রায়হান বারীঃ
আবৃত্তিগুরু তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ গেল দুই সপ্তাহ ধরে বাকরুদ্ধ হয়ে বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কিছুদিন ধরে ব্রেইনে ইনফেকশনে ভুগছেন তিনি। তবে আবৃত্তিশিল্পীর পরিবার পরিপূর্ণ চিকিৎসার ভার নিতে পারছেন না। প্রয়োজন এখন সহযোগিতা। আবৃত্তিশিল্পীর মেয়ে সংহিতা বহ্নিগণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
সংহিতা বলেন, কিছুদিন ধরে ব্রেইনে ইনফেকশনে ভুগছেন ও দিনে দিনে বাবার ব্রেইন ছোট হয়ে আসছে, কিডনির কার্যকারিতা কমে গেছে, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক এবং দু’চোখে ছানি তো আছেই। এখন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড। কিছু খেতে পারেন না। শুধু তাকিয়ে থাকেন আর খুব কাঁদেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে কোনোভাবে বাবার কথাটা জানানো গেলে খুব ভালো হতো।
তিনি জানান, ১৯৬৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদের আবৃত্তি শুনে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন। তার ক’দিন বাদেই ১৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান টেলিভিশনে আবৃত্তি প্রোগ্রাম করার ব্যবস্থা করে দেন। যার প্রযোজক ছিলেন প্রয়াত কবি শহীদ কাদরী।
সংহিতা অনুরোধ করে বলেন, আব্বার অবস্থা ভালো না। কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। বাসায় শুধু আম্মা আর আমি। আম্মাও স্ট্রোক করেছে দু’বার। তিনিও কিছুটা প্যারালাইজড (ডান হাতের কব্জি) আর আমার ১৫ মাসের বাচ্চা। কী করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। সরকার সাহায্য দিলে হয়তো আরও কিছুদিন তাকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যাবে।
আবৃত্তিশিল্পী তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদের জন্ম টাঙ্গাইলে ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর। তিনি আবৃত্তি চর্চা শুরু করেন যুবক বয়স থেকে তার আবৃত্তি শিক্ষক ছিলেন শৈলেশ্বর সান্যাল। অসুস্থ শরীরেও চলছিল আবৃত্তিকে শিল্পরূপে উপস্থাপনের।
এই আবৃত্তিশিল্পীর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৭০ সালে গৌরীপুর ডিগ্রি কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে, এরপর মিন্টু কলেজ। সর্বশেষ মুকুল নিকেতন স্কুল থেকে ২০০২ সালে কর্মজীবনের ইতি টানেন। আবৃত্তির উপর দুটি বই আছে তাঁর একটি ‘আবৃত্তিলোক’ অপরটি ‘বস্তুবাদী আবৃত্তিত্ত্ব’।
তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন থেকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সম্মাননার মধ্যে আছে স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র সম্মাননা পদক ২০০৫, কবিতা বাংলা সম্মাননা পদক ২০১১, নরেন বিশ্বাস পদক ২০১১, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০১৩, সাহিত্য বাজার সম্মাননা ২০১৪ এবং গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক ২০১৮ উল্লেখযোগ্য।
তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ একক প্রচেষ্টায় আবৃত্তি চর্চা করেছেন। শুধু তাই নয় আজকে বাংলাদেশে আবৃত্তির যে জোয়ার তার উৎসের একটা অংশও তিনি! তবে কখনই কোনো সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না।
আবৃত্তিশিল্পী তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করে বর্তমানে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।
এই আবৃত্তিগুরু কিছুদিন ধরে ব্রেইনে ইনফেকশনে ভুগছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সমাজের বিত্তবানরা একটু সদয় হলে তিনি আবার সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন বলে পরিবারের আশা।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৬ এপ্রিল ২০২০/ইকবাল
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর