September 17, 2024, 6:43 pm

সংবাদ শিরোনাম

ভীত-সন্ত্রস্ত হলোখানা ইউনিয়নের মানুষ : কুড়িগ্রামে হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামীরা বেপরোয়া

ভীত-সন্ত্রস্ত হলোখানা ইউনিয়নের মানুষ : কুড়িগ্রামে হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামীরা বেপরোয়া

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি


কুড়িগ্রামের হলোখানায় হত্যা ও চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মনসুরগং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের মদাজালফাড়া এলাকার নেছাব উদ্দিনের পুত্র মনছুর গং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৪ আগস্ট একই এলাকার মোঃ লুৎফর রহমানের নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে হাজারো মানুষের সামনে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-২৮৭/১৪ইং। অবৈধভাবে আলু ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে গত ০৩/০৩/১৭ইং তারিখ সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রফিক। সর্বশেষ ৩০/০৯/১৭ইং সামারব্রিজ কোম্পানির রংপুর-লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, গত ১২/০৯/২০১৭ইং তারিখ ভেরভেরি বালাকুড়া এলাকার কৃষক কুদ্দুস আলীকে অন্যায়ভাবে বেদম মারপিট করে মনছুর গং।
এ ব্যাপারে নিহত লুৎফর রহমানের ছোট ভাই  আঃ গফফার বলেন-আসামীরা দুধর্ষ প্রকৃতির। তারা সবসময় লোক মারফত মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। আগামীকাল (৮ অক্টোবর’১৭ইং) আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। আমার আশঙ্কা হচ্ছে আসামীদ্বয় বিভিন্ন কৌশলে মামলার স্বাক্ষীদের প্রবাহিত করতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মনছুরদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কেউ তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার উপরে নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। এমতাবস্তায় আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হলোখানার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রফিক বলেন-যারা প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করে ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী। তারা কিভাবে জামিনে মুক্ত হয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়? এতে আমি বিস্মিত।
হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম আসামী মনছুর আলীর সাথে ০১৭৬৮৮৭২৪১০ নম্বরে কথা বলার চেষ্টা করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ উমর ফারুক বলেন-মনছুর গং বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেকটি বিষয় অবগত আছেন। জানি না কি কারণে আসামীরা জামিন পাচ্ছেন?

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর