October 6, 2024, 3:35 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

ইবি’র চতুর্থ সমাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে

ইবি’র চতুর্থ সমাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে
ইমানুল সোহান, ইবি প্রতিনিধি


জাঁকজমকপূর্ণভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চতুর্থ সমাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য র‌্যাব, পুলিশ, ডিএসবি, ডিবি পুলিশ, সাদা পোশাকধারী বহিনী।

জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে অংশগ্রহনের জন্য ৯ হাজার ৩৭২ জন ¯œাতক, ¯œাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইডি ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করেছেন।

সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আব্দুল হামিদ সভাপতিত্ব করবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মান্নান উপস্থিত থাকবেন। এসময় বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সাইন্স ফিকশন লেখক ও বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সমাবর্তন উপলক্ষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে প্যান্ডেল এবং স্টেজ। সবার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এছাড়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে শেখ রাসেল হল, দেশ রতœ শেখ হাসিনা হলের ২য় ফেস। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের সময় চোখে পড়বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একটি নান্দনিক ভাস্কর্য যেটির কাজ এখনও চলমান। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের মাঝখানে তৈরি হচ্ছে একটি দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। গ্যাজুয়েটদের বহুল কাঙ্খিত সার্টিফিকেট তৈরির কাজ চলছে রাত দিন। ছুটির দিনগুলোতেও অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

চতুর্থ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির হাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ৫টি অনুষদের ১৬ শিক্ষাবর্ষের ৭৮ মেধাবী শিক্ষার্থী। বিগত ১৬ বছরে ৫টি অনুষদের ৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য স্বর্ণপদক পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতকোত্তর ১৯৯৯-২০০০ থেকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রত্যেক অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের এ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ থেকে ১৯ জন, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ৯ জন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে ১৫ জন, আইন ও শরীয়াহ অনুষদ থেকে ১৬ জন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী স্বর্ণ পদক পাবেন। তাদের মধ্যে ২০ জনকে ওই দিন মঞ্চে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
৪র্থ সমাবর্তনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এবং সকলের গণ দাবির মুখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একটি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পাসে আগমন করবেন। ক্যাম্পাসের ১৭৫ একর জায়গাকে মনিটরিং করার জন্য আমরা বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। আমরা ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, এসএসএফ এবং পোশাকধারী পুলিশ বাহিনী ও র‌্যাবসহ পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকের বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যায়ে একটি নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছি। আশা করছি আমাদের গ্রাজুয়েট  ও অতিথিরা এখানে আনন্দঘন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহন করবে এবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে ক্যাম্পাস ত্যাগ করবে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার জানা মতে এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সমাবর্তন। সমাবর্তন উপলক্ষে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একর একটি সন্তোষজনক নিরাপত্তার মধ্যে আনতে পেরেছি। ওইদিন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ ফুট উঁচু একটি মোরালের উদ্বোধন করবেন। একইসাথে এই সমাবর্তন উপলক্ষে আমরা আরও ৪ টি স্থাপনার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলিছি। এসব স্থাপনাগুলোরও  উদ্বোধন মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিজ হাতে করবেন। এই সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা চাইব প্রতি বছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুুুষ্ঠিত হোক। আমরা মনে করি এই সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর