কামাল হোসেন,সুনামগঞ্জ থেকেঃ
সুনামগঞ্জে (বীর প্রতীক) সিরাজুল ইসলামেত স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের স্থান পরিদর্শনকরেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলাধীন সাচনা বাজারে শহীদ সিরাজুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এর স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের স্থাপন পরিদর্শন করেন। এ সময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, চেয়ারম্যান, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল মোমেন বীর, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোঃ আলী আমজাদ, মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ খসরু, সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার এর সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ, সাবেক জিপি এ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রোমেন,এ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, রজব আলী, চেয়ারম্যান, জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি, জনাব মোহাম্মদ আলী, সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জামালগঞ্জ উপজেলা শাখা, সাধারন সম্পাদক, এম নবী হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা শাখা, জামালগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত দাস, মোঃ জুনেদ আহমদ, মছদির আলী, কলমদর মিয়া, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন । উল্লেখ্য শহীদ সিরাজুল ইসলামের পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার সাগাননা গ্রামে। তিনি মা-বাবার একমাত্র পুত্রসন্তান ও অবিবাহিত ছিলেন। তার বাবার নাম আবদুর রহমান বেপারি এবং মায়ের নাম আফিয়া খাতুন। সিরাজুল ইসলাম চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ১৯৭১ সালে এ রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল যশোর সেনানিবাসে। তখন তাঁর পদবি ছিল ল্যান্সনায়েক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর ভারতে যান। সেখানে পুনরায় সংগঠিত হয়ে ‘জেড’ ফোর্সে অন্তর্ভুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য শহীদ সিরাজুল ইসলামকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ২৪১। ১৯৭১ সালে তিনি সাচনা বাজারে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও তাকেঁ তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাটে সমাহীত করা হয়।