June 12, 2025, 5:32 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভাঙ্গায় হাঁস কিনতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৪ বছরের শিশু নাজিয়ার ঝিকরগাছার বায়সা চাঁদপুর ৪দিন গত হলেও মেলেনি সোহানা হত্যার রহস্য ঝিকরগাছায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ আটক-৫ যশোরের শার্শায় যুবক খুন, ৬ দিনের ব্যবধানে ৩ হত্যাকান্ড নাইক্ষংছড়ি ও রামু ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা ভয়ংকর ডাকাত শাহীন অস্ত্র ও মাদকসহ যৌতবাহিনী হাতে আটক ইতালিতে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করলেন মাদারীপুরের রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাজাহান বেনাপোলে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে নতুন রূপে করোনা ভাইরাস, স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বেনাপোলে আটক ঝিকরগাছার বায়সায় নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রী ১১ বছরের সোহানার মরদেহ উদ্ধার বেনাপোলে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় ২ আসামি আটক

তালায় ঘুমন্ত স্বামী এসিড দগ্ধ:স্ত্রীকে আসামীকে করে মামলা

নজরুল ইসলাম,তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার তালায় চর কানাইদিয়ায় বন্ধ ঘরে ঘুমন্ত স্বামী এসিড দগ্ধের ঘটনায় স্ত্রী

আশা ওরফে হাফসাকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট তালা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার শিকার আল আমিন গাজীর পিতা বাদি হয়ে গত ১১ আগস্টরোববার  পুত্রবধু আশাকে একমাত্র আসামী করে মামলাটি করেছেন।যার মামলা নং-১।এর আগে তালা থানার এস আই প্রীতিশ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আশাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেন। পরে মামলা হলে তাকে আটক দেখিয়ে গত সোমবার ঈদের দিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন আলামিন গাজীর শরীরের ৪০% পুড়ে গেছে এবং তার অবস্থা আশংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন রোগীর সাথে থাকা স্বজন রুহুলামিন। তবে আক্রান্ত রোগী কথা বলছেন। এসময় কে বা কারা তাকে এসিড নিক্ষেপ করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তাদের ধারণা আলামিনের স্ত্রী আশা ওরফে হাফসাই তাকে দগ্ধ করতে পারেন।প্রসঙ্গত,রবিবার দিবাগত রাতে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর কানাইদিয়া গ্রামের রাজ্জাক গাজীর ছেলে আলামিন গাজী (৩২) ও তার স্ত্রী আশা ওরফে হাফসা বেগম রাতের খাবার খেয়ে ঘরের জানালা-দরজা আটকে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আকস্মিক রাত আনু: ১ টার দিকে আলামিন তার শরীর জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে বলে চিৎকার করতে থাকলে পাশে ঘুমন্ত স্ত্রীসহ বাড়ীর অন্যান্যরা উঠে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করে।তবে তালাবদ্ধ ঘরে বাইরের লোক কিভাবে তার উপর এসিড ছুঁড়তে পারে এনিয়ে প্রথম থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছিল। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়,উপজেলার চর কানাইদিয়া গ্রামের সাত্তার গাজীর ছেলে আলামিন গাজী পেশায় একজন রড মিস্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করছিল। অন্যদিকে তার স্ত্রী আশা ওরফে হাফসা বেগম প্রায় ৩ বছর যাবৎ সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে প্রবাসী ছিলেন। সেখানে উপার্জনের সব টাকাই তিনি তার স্বামীকে পাঠাতেন। একপর্যায়ে নিজ খরচে পরবর্তীতে তিনি তার স্বামী আলামিনকেও সৌদি আরবে নিয়ে যান। তবে সেখানে মাত্র ৩ মাসের কর্মজীবন ছেড়ে আলামিন ফের দেশে ফিরে আসেন। আবার বিয়ে করেন ঢাকাইয়া এক ডিভোর্সীকে। গত বছরের ডিসেম্বরের দিকে আয়েশা দেশে ফিরে স্বামীর সাথে একমাত্র ছেলে হুজাইফা (৮)সহ ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ ঈদ করতে বুধবার তারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কানাইদিয়ায় আসেন এবং রবিবার দিবাগত রাতে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন।এদিকে বন্ধ ঘরের মধ্যে স্বস্ত্রীক একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র স্বামীর এসিড দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এলাকাবাসীর পাশাপাশি খোদ পরিবারকেও। প্রথম থেকেই তারা ঘটনার জন্য আশাকে দায়ী এবং রোববার তাকে আসামী করে মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠালেও নানা বিষয় পুরো ঘটনাটিকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।যদি স্ত্রী আশাই তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় এসিড ছোড়েন তাতে তার উদ্দেশ্য কি ছিল? তাকে হত্যা? নাকি আক্রান্ত করা? যদি তাকে হত্যাই উদ্দেশ্য হয়,তাহলে ঢাকায় নিরিবিলি হত্যা না করে কেন বাড়িতে এনে তার পিতা-মাতা বা স্বজনদের সামনে আক্রমণ করল? তাছাড়া ঘটনার পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসায় আশা প্রথমে সাতক্ষীরা ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। পুলিশ অবশ্য পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছিল। তবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আশা কিছুই বলেনি পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন থানা পুলিশ। ঘটনায় কোন তৃতীয় পক্ষ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়েও মহল বিশেষ গুঞ্জণ উঠেছে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর