ত্বকের সমস্যা মশার কামড় থেকে
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছাড়াও ত্বকে হতে পারে ঘা।
যে কোনো মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয় না। আবার যে কোনো এইডিস মশা কামড়ালেই যে ডেঙ্গু হয়ে যাবে ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে যে কোনো মশা কামড়েই যা হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে তা হল ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ। সেখান থেকে হতে পারে চুলকানি, ফুসকুড়ি, র্যাশ, ঘা ইত্যাদি।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং সিটি স্কিন কেয়ারের কর্ণধার ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান।
মশার কামড় থেকে ত্বকের সমস্যা নতুন কিছু নয়। এটা কারও বেশি হয় কারও আবার হয় না। যাদের অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি তাদের এই সমস্যা বেশি হয়।
অনেক সময় একটি মশার কামড়েই দুতিনটি ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সমস্যা আরও বেড়ে যায় চুলকানোর কারণে।
মশা কামড়ানোর সময় গায়ে মশা মারা কারণে, মশার হুল চামড়ায় থেকে যাওয়া, নখ বড় থাকলে তা দিয়ে চুলকানোর কারণে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া, ঘুমের ঘোরে অতিরিক্ত চুলকানো ইত্যাদি বিষয় ত্বকের সমস্যার তীব্রতা বাড়ায়।
এই ক্ষত পরিষ্কার না থাকলে সেখানে নতুন সংক্রমণের কারণে তা ঘায়ে রূপ নিতে পারে।
সমস্যা নিয়ন্ত্রণ
প্রথমত মশা কামড়ালে ওই স্থানে নখ দিয়ে চুলকানোর প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর ত্বক সুস্থ রাখার জন্য শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
নারিকেল তেল, জলপাইয়ের তেল, পেট্রোলিমায় জেলি, লোশন, ক্রিম ইত্যাদি যে কোনো কিছুই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
মশার কামড় থেকে বাঁচতে ‘মসকুইটো রিপেলেন্ট ক্রিম’ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ধরনের ক্রিম অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে
তাই এই ধরনের ক্রিম শরীরে মালিশ করে না লাগিয়ে বরং দুই হাতে মাখিয়ে শরীরে আলতো করে ছুঁইয়ে নিতে হয়।
শিশুদের ত্বক যেহেতু সংবেদনশীল তাই তাদের ক্ষেত্রে এই ক্রিম ব্যবহারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এছাড়াও কয়েল, স্প্রে, ‘লিকুইড মসকুইটো রিপেলেন্ট’ ইত্যাদিও ব্যবহার করা যায়। তবে মশারিই হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচাইতে নিরাপদ উপায়।
আর ত্বকে ফুশকুড়ি, র্যাশ দেখা দিলে কিংবা ঘা হয়ে গেলে সেখানে জীবাণুনাষক ক্রিম মাখা যেতে পারে।