March 24, 2025, 4:14 pm

সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বনাথে যুবকের ঝুলন্ত লা শ উদ্ধার গংগাচড়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান

প্রধানমন্ত্রীর হাতেই গণমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর হাতেই গণমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে। তিনিই প্রথম এদেশে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি একথা বলেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল করিম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যম সমাজের দর্পন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সমাজ যাতে সঠিক ভাবে প্রবাহিত হয় এবং রাষ্ট্রগঠনে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম সমাজের দর্পন হিসাবে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে গণম্যধ্যমের কর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আন এডিটেড প্ল্যাটফর্ম। ফলে এখানে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়, এসব সংবাদ অনেক সময় অস্থিরতা তৈরি করে, সামাজিক বন্ধন নষ্ট করে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে। তিনি বলেন, সংবাদপত্রগুলো এডিটিং প্ল্যাটফর্ম বলে সেখানে ভুল কম হয়। এ কারণে সাংবাদিকদের উচিত হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করা। নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের আগে অকারণে যেন সাংবাদিকসহ কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ছাঁটাই করা না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উঠতে যাচ্ছে, ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আগে অনেক বড় বড় গণমাধ্যমে ছাঁটাই বিষয়ে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পদক্ষেপ নেবেন কি না- প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় যারা সাংবাদিক, তারা এ পেশায় না গিয়ে অন্য পেশায় গেলে সে পেশা অনেক নিরাপদ ছিল। যোগ্যতার দিক থেকে যারা সাংবাদিক তারা অন্যান্য নিরাপদ পেশায় আরো ভালো বেতনে যারা কাজ করছেন তাদের চেয়েও অনেক বেশি যোগ্যতা রাখেন। এ ক্ষেত্রে আমি অনুরোধ জানাবো, অকারণে যেন কাউকে এভাবে ছাঁটাই করা না হয়। সেটিই হবে আমার অনুরোধ। সমস্ত পত্রিকা-টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। ছাঁটাই না করার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে পত্রিকা ও টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বসবেন কি না- এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সঙ্গেই ইতোমধ্যে কথা বলেছি। আমি সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলবো, তারা করছেন। যাতে আরো এ ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়, আমি কথা বলবো। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি আন-এডিটেড প্ল্যাটফর্ম, যে কেউ যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ব্যক্ত করতে পারছেন। সেখান থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে, মনে করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রতিষ্ঠিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকে সহসাই নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। অনলাইন সংবাদপত্রগুলোর সচিবালয়ে প্রবেশের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নবায়ন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আমরা খুব সহসা, যে অনলাইনগুলোর তদন্ত হয়েছে। আর কিছু অনলাইন আছে তদন্তের খুব একটা প্রয়োজন নেই। কারণ এগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইন হিসাবে কাজ করছে। সেগুলোর নিবন্ধন আমরা খুব সহসা দিয়ে দেবো। গত ১৫ জুলাই শেষ দিন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য সাড়ে আট হাজার দরখাস্ত পড়েছিল বলে এরআগে জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সেই দর্পণে দৃষ্টি নিপাত করে সরকারও অনেক সিদ্ধান্ত নেয় অনেক সিদ্ধান্ত বদলায়। তাই সাংবাদিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মনে রাখতে হবে কোনো একটি সংবাদ সমাজে কী প্রভাবে ফেলতে পারে- এটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে অনেক সময় খারাপ খবরগুলো প্রাধান্য পায়। অবশ্যই খারাপ সংবাদগুলো পরিবেশন করতে হবে, সমালোচনাও থাকতে হবে। একই সঙ্গে ভালো সংবাদগুলোও পরিবেশিত হওয়া প্রয়োজন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ‘ছেলেধরা’ ও ‘বিদ্যুৎ থাকবে না’- এমন গুজব থেকে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে এ সময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর