ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে নগরীর জামালখানের রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নগরীর উত্তর কাট্টলীর রামমোহন দাসের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী কৃষ্ণপদ দাস (৩৫), নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারের লালমোহন দাসের ছেলে জেলে সুধীর দাস (৫০), হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ কালীবাড়ির মনোরঞ্জন তালুকদারের ছেলে কনস্ট্রাকশন ফার্মের কর্মী প্রদীপ তালুকদার (৫৫), নগরীর পাথরঘাটার বিনোধ বিহারীর ছেলে ঝন্টু (৪৫), আশীষ বড়ুয়া (৩২), বাঁশখালীর ধনাশীল (৪৫), সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরার অলক ভৌমিক (৩৬), লিটন দেব (৫০) ও কনক দাশ (৩২) এবং কক্সবাজার চকরিয়ার রাহুল দাসের ছেলে দীপঙ্কর (২৬)। দীপঙ্কর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, কুলখানি উপলক্ষে নগরীর ১১টি কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার মেজবানের আয়োজন করে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার। তার মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল হক জানান, ভিড়ে পদদলিত হয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মহিউদ্দিন চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। শুক্রবার বাদ মাগরিব নগরীর চশমাহিলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।