January 21, 2025, 8:11 am

সংবাদ শিরোনাম

‘শহরের ৫৪ শতাংশের বেশি নারী সহিংসতার শিকার’

‘শহরের ৫৪ শতাংশের বেশি নারী সহিংসতার শিকার’

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

অতীতের তুলনায় বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের পরিমাণ ও মাত্রা বেড়েছে জানিয়ে জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম বলেছে, শহরাঞ্চলের নারী ও কন্যা শিশুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে বেশি।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর) পালনের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম।

সারা দেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ব্র্যাক, একশনএইড, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত জরিপ থেকে নারীর প্রতি সহিংসতার বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

এতে বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সদস্য সচিব মাহমুদা বেগম বলেন, ২০১৭ সালে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিমাণ বেড়েছে।

নগরে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক ‘কার শহর’ শীর্ষক একশনএইড পরিচালিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শহর এলাকায় ৫৪ শতাংশের বেশি নারী সহিংসতার শিকার হয়।

বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির পরিচালিত ওই গবেষণা জরিপে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার হার উচ্চ দেখা গেছে জানিয়ে সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বলেন, গবেষণায় ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ।

বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিচারে দীর্ঘসূত্রতার প্রসঙ্গ তুলে একশনএইড বাংলাদেশের কাশফিয়া ফিরোজ বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে বছরের পর বছর ধরে লেগে থাকতে পারে না, মামলা চালিয়ে নেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা থাকে না। যার ফলে নির্যাতিত নারী বা তার পরিবার বিচার পায় না।

এসব ক্ষেত্রে একশনএইড ও জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিচার আদায় করতেও সক্ষম হয়েছে।

রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ী লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কুলছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যার ১৯ বছর পর হত্যাকারী শহীদুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর নিয়ে কথা বলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভাপতি মমতাজ আরা।

শাজনীন হত্যার বিচারের দীর্ঘ সময় পার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “লতিফুর রহমানের মত প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর মেয়ের ধর্ষণ ও হত্যাকা-ের বিচারের জন্য যদি ১৯ বছর অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশে গরীব মানুষরা কতটুকু বিচার পায় তা ধারণা করে নেওয়া যায়।”

দ্রুততম সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন সংক্রান্ত সব অভিযোগের বিচার কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন জেলায় কাজ করা ফোরামের নারী অধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর