September 21, 2024, 4:55 pm

সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষেতলাল পৌরসভার বাসিন্দা উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আশ্রয়নের ঘর বানিজ্য

সরকার হস্তক্ষেপ করলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করানো হতো: ওবায়দুল কাদের

সরকার হস্তক্ষেপ করলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করানো হতো: ওবায়দুল কাদের

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আদালত, আইন সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। খালেদা জিয়াকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, আদালতকে জিজ্ঞাসা করুন। সরকার যদি হস্তক্ষেপ করত, তাহলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করানো হতো। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বারবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে নাÑসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকম-লীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথসভায় অংশ নেন তিনি। লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বারবার তাঁর স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালেও আদালত তা নাকচ করে দেন। গত বৃহস্পতিবারও এক মামলায় রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতাল চলাকালে নিরাপত্তার কারণে তিনি সকালে আদালতে যেতে পারেননি। পরে তাঁর আইনজীবীরা দুপুরের পর আদালতে হাজির হওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু বিচারক সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকাবস্থায়ও একই আদালত দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশে ফিরে পরপরই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এবং নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যেই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন ৬ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ‘বিস্ময়কর’ করে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা। দেশের নিম্ন আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, এ কারণেই বিচারকরা আজ আর ‘নিজেদের ইচ্ছামতো’ আদেশ দিতে পারছেন না। তবে বিএনপি নেতাদের এই ধরনের প্রতিক্রিয়া ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁরা (বিএনপির নেতারা) প্রতিক্রিয়া দিলেন সরকার নাকি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। বিএনপি তো আইন-আদালত মানে না; তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই বলা হচ্ছে আদালতে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এটার প্রমাণ দিয়েছেন তাঁরা আদালতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ দিয়ে। রাজনীতি করলে কি আইন মানবেন না? তাঁরই তো নিয়ন্ত্রিত ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন মামলা করেছেন। তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এই সরকারই মামলা করেছে। সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, আদালত যখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন, তখন আদালত স্বাধীন। আদালত যখন খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বের করে দিলেন, তখনই বলা হয়, আদালতে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। এখন সেই বাড়িতে সেনাবাহিনীর ৫০২ জন কর্মকর্তা বাস করছেন। এটা কি সরকারের দোষ? বিএনপি গত সাড়ে আট বছরে সাড়ে আট মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যদি তাঁরা কোনো প্রকারে দেশে অশান্তি করতে চায়, তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। জনগণ এখন আর বিএনপিকে চায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন ভাবছে কীভাবে এই সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনবে। কারণ, আওয়ামী লীগের অনেক উন্নয়ন সফলতা আছে। আর বিএনপির কিছুই নেই। আগাম জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রী জানেন। আর সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি নির্বাচনে জন্য। আগামি মাসেও যদি হয় আমরা প্রস্তুত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে সম্পাদকম-লীর পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর