বগুড়ায় পিতাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার আদমদীঘির কুশাবাড়ীর ম–ল পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ শয়ন ঘরে কেরোসিন তেল দিয়ে লাগানো আগুনে দগ্ধ হয়ে পিতা হামিদুল ইসলাম (৫০) নিহত হয়েছে ও মাতা হাফসা বিবি (৪৫) দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ছেলে রহিদুল ইসলাম (৩০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
পুলিশ নিহত হামিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া মর্গে প্রেরণ করেন। রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার নন্দীগ্রামের উপজেলার আগাপুর গ্রামের হামিদুল ইসলাম আদমদীঘির কুশাবাড়ী গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ীতে দীর্ঘ প্রায় ১৪/১৫ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। হামিদুল ইসলামের ছেলে রহিদুল ইসলাম কে ৫/৬ বছর পূর্বে গজারিয়া গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে মর্জিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রহিদুলের স্ত্রীর সাথে বুনিবনা না হওয়ায় গত ৩/৪ মাস পূর্বে রহিদুল তার স্ত্রী মর্জিনা কে মৌখিকভাবে তালাক প্রদান করেন। এরপর স্ত্রীকে পুনরায় সংসারে ফিরে নিতে কয়েক দফা বৈঠক বসে।
রহিদুলের বাবা হামিদুল ইসলাম তাতে রাজি হয় না। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রহিদুল বাজার থেকে ডাব কিনে নিয়ে এসে রাতের খাবার শেষে তার বাবা মাকে ডাব খাওয়ায় পর রহিদুল তার পাশের ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত ১ টার সময় নিহত হামিদুলের স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় হামিদুল ইসলাম আগুনে পুড়ে মারা গেছে এবং তার স্ত্রী হাফছা বিবি দগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছে।
এ সময় পাশের ঘরে থাকা তার ছেলে রহিদুল বাড়ীতে নেই। পিতার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিল ম–ল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আদমদীঘি থানার ওসি আবু সায়িদ মো. ওয়াহেদুজ্জামান রহিদুল ইসলাম কে আটকের কথা নিশ্চিত করেন।