January 15, 2025, 6:58 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

এসএমই ঋণে নজর ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান

এসএমই ঋণে নজর ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

এসএমই খাতে ঋণ গ্রহীতাদের খেলাপি কম হওয়ার তথ্য দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “বড় ঋণ গ্রাহকরা খেলাপি হলেও এসএমই খাতের গ্রাহকরা খেলাপি হয় না। তাই দেশের ব্যাংকিং খাতের উচিৎ, এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো।”

রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে এসএমই খাতে অর্থায়ন নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি এ খাতে অনেক মানুষের সম্পৃক্ত থাকার কথাও বলেন ডেপুটি গভর্নর।

“আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়। এখানে অনেক বেশি মানুষ অন্তুর্ভুক্ত হওয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি অর্জনেও সবচেয়ে বেশি সুবিধা। এ খাতে ঋণ দিলে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পরিধি বাড়বে।”

“ভবিষ্যতে এই খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি মুনাফা হবে। একইসঙ্গে এ খাতটি ভবিষ্যত মুনাফার বড় একটি উৎস বানানোর সুযোগ রয়েছে।”

তবে অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুল হক এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ার তথ্যই দেন।

তিনি জানান, ২০১০ সালে এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬১ কোটি টাকায়। এর পরের বছর তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪২ কোটি টাকায়। ২০১৬ সালে আরও চার হাজার খেলাপি ঋণ যুক্ত হয়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “এসএমই-তে ঋণ দিতে পারলে বাংলাদেশ উন্নতি করবে। এসএমই-লোন কোন সেক্টরে ব্যবহার করা হচ্ছে-তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।”

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান জানান, এসএমই-তে খাতে তাদের ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা। তাদের এই খাতে নন-পারফমিং লোন ২ শতাংশের কম।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল ইসলাম বলেন, “দারিদ্র দূরীকরণে এসএমই ঋণের গুরুত্ব অপরিসীম।”

অনুষ্ঠানে আরেকটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (ডিএসবিএম) অধ্যাপক মো. মহীউদ্দিন ছিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর