March 20, 2025, 9:59 pm

সংবাদ শিরোনাম
মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফ্যাসিস্টের দোসর নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে ১৯ লাখ টাকার বার্মিজ গরু ও সুপারি জব্দ,

এসএমই ঋণে নজর ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান

এসএমই ঋণে নজর ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

এসএমই খাতে ঋণ গ্রহীতাদের খেলাপি কম হওয়ার তথ্য দিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বেশি ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “বড় ঋণ গ্রাহকরা খেলাপি হলেও এসএমই খাতের গ্রাহকরা খেলাপি হয় না। তাই দেশের ব্যাংকিং খাতের উচিৎ, এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো।”

রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে এসএমই খাতে অর্থায়ন নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি এ খাতে অনেক মানুষের সম্পৃক্ত থাকার কথাও বলেন ডেপুটি গভর্নর।

“আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়। এখানে অনেক বেশি মানুষ অন্তুর্ভুক্ত হওয়ায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি অর্জনেও সবচেয়ে বেশি সুবিধা। এ খাতে ঋণ দিলে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পরিধি বাড়বে।”

“ভবিষ্যতে এই খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি মুনাফা হবে। একইসঙ্গে এ খাতটি ভবিষ্যত মুনাফার বড় একটি উৎস বানানোর সুযোগ রয়েছে।”

তবে অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুদুল হক এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ার তথ্যই দেন।

তিনি জানান, ২০১০ সালে এসএমই খাতে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬১ কোটি টাকায়। এর পরের বছর তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪২ কোটি টাকায়। ২০১৬ সালে আরও চার হাজার খেলাপি ঋণ যুক্ত হয়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “এসএমই-তে ঋণ দিতে পারলে বাংলাদেশ উন্নতি করবে। এসএমই-লোন কোন সেক্টরে ব্যবহার করা হচ্ছে-তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।”

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান জানান, এসএমই-তে খাতে তাদের ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা। তাদের এই খাতে নন-পারফমিং লোন ২ শতাংশের কম।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল ইসলাম বলেন, “দারিদ্র দূরীকরণে এসএমই ঋণের গুরুত্ব অপরিসীম।”

অনুষ্ঠানে আরেকটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (ডিএসবিএম) অধ্যাপক মো. মহীউদ্দিন ছিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক (গবেষণা উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর